Sunday, October 28, 2018

হিংস্র মানুষের রুপ

হিংস্র মানুষের রুপঃ

মানুষ এমন একটি প্রাণী বা জীব, যার মান ও হুশ রয়েছে। আকারে পরিবর্তনশীল প্রতিটি বস্তুর জীবন আছে, তবে সকল জীবনের মান ও হুশ নেই। যাদের মান আর হুশ আছে তাদেরকে সমাজে মানুষ বলে। আজকাল আবার কিছু কিছু মানুষের ভিতরে অমানুষের আত্মা ভরকরে আছে, আকার ও আওয়াজে মানুষের মত হলেও,এরা আসলে মানুষ নয়। এদের চেতনা শক্তি কম, ন্যায় ও অন্যায় এর মাঝে পার্থক্য বুঝেনা। সত্য মিথ্যার ব্যবধান করেনা, নিজেদের পক্ষে হলে হাসে আর বিপক্ষে গেলে গলা উছিয়ে কাশে। অনেকে আবার অতি বুদ্ধির ডেকোর তুলে অতি প্রগতিশীলতা অভিনয় করে। মানুষকে বিচার করে ধর্ম,বর্ণ,জাতির ও নীতির পরিচয়ে। সমাজ ব্যবস্থায় আজকাল এমন মানুষের অবস্থান ব্যাপক উন্নত স্তরে।রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ তলায় এখন মান ও হুশ বিহীন অভিনেতা মানুষের সংখ্যায়ই বেশি। মানুষের মানবিকতা অমানুষের স্তরে চলে এসেছে। নিজের প্রয়োজনে একজন অন্যজনকে দাসের মত ভাবতে লজ্জাবোধ করেনা। পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্র নিয়ে ভাবতে চায়না। জীবনের ধ্যান জ্ঞান নিজেকে নিয়ে, নিজের ভোগ ও সুখ নিয়ে। আত্মসুখ ও মনের শান্তির জন্য জগৎ জ্বালিয়েও এদের ভোগ মিঠেনা। আজকাল মানুষের বাহ্যিক রুপের সাথে শিকারি সিংহ ও হিংস্র হায়নার মানসিকতা যুক্ত হয়ে এক নতুন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। এককথায় বলতে পারেন, শিকারি পশুরমত হিংস্র মানুষ। কাক কাকের মাংস না খেলেও, মানুষ কিন্তু ঠিকই মানুষের মাংস খায়। এরা কুপিয়ে কুপিয়ে খায়, পিটিয়ে পিটিয়ে খায়, পায়ের তলা দিয়ে পিষ্টে মানুষ মেরে খায়, হাতুরি দিয়ে চেঁচে চেঁচে নিজ বন্ধুর মাংসও খায়। নীতির পার্থক্য বা ধর্মের পার্থক্যের জন্য মানুষ নিজ প্রজাতিকে হত্যা করে খায়। দল বা আদর্শের জন্য একজন অন্যজনকে প্রকাশ্যে হত্যা করে নৃত্য করছে আর ধ্বংস করছে মানবতা ও মানসিকতাকে। আদর্শ, ধর্মীয় তকমা ও প্রগতির চেতনায়  মানুষ হত্যা এখন স্বাভাবিক ও আইন সংগত ব্যাপার হয়ে গেছে। কেউ ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের পোড়া মাংস খায়, আবার কেউ ক্ষমতায় আসার জন্য পোড়া মাংসের কাবাব খায়। স্বর্গ পাওয়ার আশায় মানুষ মানুষকে মেরে, মানুষকে কথার আঘাত দিয়ে সুখ পায় আবার কেউ কেউ স্বর্গীয় সুখের অনুভূতি পেতে মানুষের উপর বোমা মারে। জগতের আধুনিক রুপ তৈরি করতে এক মানুষ অন্য মানুষকে দাস বানিয়ে কাজ আদায় করছে। আধুনিক সভ্যতার ইমারত গুলোকে আজ রক্ত মাংসের ইমারত মনে হয়। এক সভ্যতার স্থায়িত্বের জন্য অন্য সভ্যতাকে মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিচ্ছে এজগতের অসভ্য ও মাংস লোভী হিংস্র মানুষ গুলো। এখন মানুষ হিংস্র জানোয়ার থেকে নিরাপদ হলেও, অতি আধুনিক প্রগতিশীল হিংস্র মানুষ থেকে নিরাপদ নয়। সমস্ত পৃথিবীকে এরা নিজ সুখ ও শান্তির জন্য খোদার নরক বানাচ্ছে।  বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে শান্তির নিরাপদ শহরকে। এসব অমানুষদের বিষক্রিয়া এত মারাত্মক যে, আকাশ-বাতাস  বিষের আগুনে জ্বলছে। এদের নীতি আদর্শ বা ব্যবস্থার বিরোদ্ধে কথা বললে, আপনাকে শুয়রের পালের মত আক্রমণ করবে। প্রয়োজনে আপনাকে থামাতে গুম,খুন বা হত্যার পথে নামবে। এরা নিজের পথ ও মতের জন্য অন্যের বুকে চুরি চালায়। আজ সমাজ রাষ্ট্র বা বিশ্বে এদের হিংস্রতার জোয়ার বইছে। এদের হাত থেকে আমি, আপনি, আমরা বা আমাদের জীবন নিরাপদ নয়। এদের প্রগতি বা ধর্মীয় উন্মাদনায় ৭১ সালে গণহত্যা, ৭২ ও ৭৩ এর গুপ্ত হত্যা, ৭৫ এর কালো হত্যা, জেলহত্যা, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের হত্যা, বিডিআর হত্যা, জঙ্গিবাহিনী বোমা হামলা, শাপলা চত্তরের হত্যা ও ২৮ অক্টোবরের প্রকাশ্যে মানুষ হত্যাসহ রাজনীতির নামে বিনাবিচারে মানুষ হত্যা আজ সুস্থ সমাজকে অসুস্থ সমাজে পরিনত করেছে। এদের বাহিরের রুপ মানুষের আর ভিতরের রুপ জানোয়ারের।

লেখকঃ
মুহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া
বিএসএস (অনার্স) এমএসএস (অর্থনীতি)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
mohsinbhuiyan1980@gmail.com

২০ দলীয় জোট ত্যাগ করলো লেবার পার্টি

২০ দলীয় জোট ত্যাগ করলো লেবার পার্টি

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নামে ১/১১-এর কূশিলবদের অপতৎপরতা ও ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর করার প্রতিবাদে ২০-দলীয় জোট ত্যাগ করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি। আজ সকালে স্থানীয় একটি হোটেলে লেবার পার্টির নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দলের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস-চেয়ারম্যান হিন্দুরতœ রামকৃষ্ণ সাহা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মহসিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, শামিমা চৌধুরীসহ নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।
সভা মনে করে, বিএনপি’র নেতৃত্বে ৪-দলীয় জোটকে সমপ্রসারণ করে ১৮-দলীয় জোট যা পরবর্তীতে ২০-দলীয় জোটে রূপান্তরীত হয়েছে। এ জোটের শরীক হিসেবে আমরা আমাদের সাধ্যমত অবদান রাখায় সচেষ্ট ছিলাম। গত ০৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে লেবার পার্র্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও জামায়াতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দলের আদর্শ ও দেশ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ সহ অব্যাহতি দিয়ে জনাব এমদাদুল হক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। দলের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ আমাদের সাথে থাকলেও বিএনপি ইরানের অংশকেও জোটে রেখে দেয়। আমরা অপমানিত হলেও দেশ-জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিষয়টিকে মেনে নিয়েই জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি নির্বাচনে ইরান জোটের প্রার্থীর বিপক্ষে সরাসরি নির্বাচনের মাঠে থাকলেও জোটের প্রধান দল তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।
সাম্প্রতিক কালে বিএনপির জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত থাকলে আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যের নামে “জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট” নামক একটি জোটের আত্মপ্রকাশ করতে গিয়ে বিএনপি ও তার নতুন বন্ধুরা যে সকল ঘটনার অবতারণা করেছেন তা সত্যই দু:খজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক। ১/১১ এর কূশিলব ও বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার নেতাদেরকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন ও সাম্প্রতিক কালে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন, অন্যতম নেতা ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেন ও ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফাঁশ হওয়া টেলিফোনিক কথোপকথনে নতুন করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র ফুটে উঠে। এধরণের গোঁজামিলের জোট দেখে আমরা আতঙ্কিত। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা কি আরেকটি অশুভ শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্রের অংশিদার হতে যাচ্ছি কিনা! লেবার পার্টি মনে করে নতুন এ জোটের আত্মপ্রকাশ ২০-দলীয়  জোটকে অকার্যকর, অন্ত:শার শুন্য এবং জাতীর সাথে তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।
বাংলাদেশ লেবার পার্টি ক্ষমতার পালা বদলের নামে কোন অশুভ শক্তি ক্ষমতা গ্রহণ করে আবারও দেশকে রাজনীতি শুণ্য করার কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে না।
এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে ২০-দলীয় জোটের শরীক হিসেবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির স্বার্থে আজ থেকে ২০-দলীয় জোটের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করছে। আমরা নতুন করে পথ চলতে চাই। আমরা আশাকরি সকলে মিলে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আগামী দিনে একটি সুখি-সমৃদ্ধশালি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হব।

বার্তা প্রেরকঃ

(হামদুল্লাহ আল মেহেদী)
মহাসচিব
বাংলাদেশ লেবার পার্টি
মোবা: ০১৭২০ ৫৫৭০০৪

Sunday, October 21, 2018

প্রতারক "ডাঃ ইরানকে" গণধোলাই ও লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কার

প্রতারক "ডাঃ ইরানকে" গণধোলাই ও লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কার।

যুবকের গ্রাহক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পালানোর সময়, পুরানা পল্টন হাউজ বিল্ডিং এর সামনে প্রতারিত গ্রাহক তনু আক্তার, রুপা বেগম, আসমা বেগম, রুমা আক্তার ও শীপারা বেগমদের দ্ধারা ব্যাপক হস্ত ও জুতা প্রহারের শিকার হয়েছিল, লেবার পার্টির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ও হারবাল চিকিৎসক ডাঃ ইরান। এসময় তারা প্রতারক ইরানের ফাঁসি চেয়ে মিছিল করেছিল। পরে প্রতারক ইরানকে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি,  হাফেজ কারী রফিকুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা বি এম নাজমুল হক। (ফাইল নিউজ-২০০৭)

Wednesday, October 17, 2018

কুমিল্লাতে ২০ দলীয় ঐক্যজোটের মিটিং হচ্ছেনা প্রায় ৪ বছর

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্যজোটের কুমিল্লা মহানগরীতে জোটের মিটিং হচ্ছেনা গত ৪ বছর ধরে। এতে জোটের নেতাদের সাথে বিএনপি'র দূরুত্ব তৈরি হচ্ছে। জোটের প্রধান হিসেবে বিএনপি' মিটিং ডাকার কথা।

Friday, October 12, 2018

চাঁদাবাজ "টোকাই ইরান" থেকে সাবধান

৪টি কারণে লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হলো ডাঃ ইরানকে  !!!

১। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা
২। ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গা ষড়যন্ত্র ও জোট    বিরোধী বক্তব্য দেওয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ দিলীপ ও ইসলামী ঐক্যজোট এর নেতা নিজামীর  সাথে গোপন বৈঠক করা।
৩। লেবার পার্টির নামে ব্যাপক চাঁদাবাজি করা ও দলীয় ফান্ডের টাকার গত দশ বছরের হিসাব না দেওয়া এবং রশিদ বিহীন দলীয় চাঁদা আদায় করা।
৪। (অনৈতিক কার্যকলাপ) প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বিবাহ করা ও তিন বার তালাক দেওয়ার পর ঐ স্ত্রীর সাথে হিল্লা ব্যতীত ঘর করছে ( উম্মে হাবীবা ) । এবং দলের ঢাকা মহানগরীর একজন মহিলা কর্মীর সাথে অফিসের ভিতর যৌন হয়রানির অভিযোগ আছে।

সবাইকে ধন্যবাদ

একজন সমাজ বিপ্লবী ছক্কা ছয়ফুর রহমানঃ (মুহাঃ মহসীন ভূঁইয়া)

একজন সমাজ বিপ্লবী "ছক্কা ছয়ফুর রহমান"
         (মুহাম্মদ মহসীন ভূইঁয়া)

বাংলার ইতিহাসে আর কখনো এমন মানুষের জন্ম হবে কি না সন্দেহ!
তাঁর নাম ছয়ফুর রহমান। পেশায় একজন বাবুর্চি ও ঠেলাগাড়ি চালক। খুব নামিদামি বাবুর্চি এমন নয়, সিলেটের সালুটিকর বাজারে ছাপড়া ঘরের দিন আনি দিন খাই বাবুর্চি,তাঁর দ্বিতীয় পেশা ছিল ঠেলাগাড়ি চালক। যখন বাবুর্চিগিরি করে আয় রোজগার হতো না তখন ঠেলাগাড়ি চালাতেন।  ছয়ফুরের ছিল অসীম সাহস ও বিপ্লবী চেতনা। যেকোনো ইস্যুতে তিনি একেবারেই জনসম্পৃক্ত রাজনীতি করতেন। ধরুন সালুটিকর থেকে শহরে আসার বাসভাড়া আটআনা বেড়ে গেছে। ছয়ফুর রহমান কোর্ট পয়েন্টে একটা মাইক বেঁধে নিয়ে ওইদিন বিকালে প্রতিবাদ সভা করবেনই করবেন।

নিজেকে আল্লার গোলাম মো. ছয়ফুর রহমান বলে পরিচয় দিতেন। রাষ্ট্রপতি থেকে এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান বা   ইউপি চেয়ারম্যান, সবপদেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এই ছয়ফুর। তার এসব লীলাখেলায় জনগণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হলেও তিনি একজন বীর মুক্তিযেদ্ধা ও সুবক্তা।

বক্তা হিসেবে অসম্ভব রসিক লোক ছিলেন। ছড়ার সুরে সুরে প্রতিপক্ষকে গায়েল করে বক্তব্য দিতেন।  তারপর মূল ইস্যু নিয়ে অনেক রসিকতা করবেন; কিন্তু দাবি তাঁর ঠিকই থাকবে।

তার বক্তৃতা শুনতে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের ভিড় হতো। তো বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরেই তিনি একটুকরো কাপড় বের করে সামনে রাখতেন। তারপর সবাইকে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বলতেন, 'আমি এই যে আপনাদের জন্য আন্দোলন করতেছি, আমার মাইকের খরচ দিবে কে? মাইকের খরচ দেন।'

অদ্ভুত ব্যাপার হল, কোনোদিনই মাইকের খরচ উঠতে দেরি হয়েছে এমনটা হয়নি। দুই টাকা, এক টাকা করে তার সামনের কাপড়টি ভরে উঠত। তারপর যখন তিনশ' টাকা হয়ে গেল তখন মাইকের খরচ উঠে গেছে; তিনি তার কাপড়টি বন্ধ করে দিতেন।

অনেক সময় তার লেখা বই বিক্রি করেও জনসভার খরচ তুলতেন। অদ্ভুত কয়েকটি চটি সাইজের বই ছিল তার। একটির নাম 'বাবুর্চি প্রেসিডেন্ট হতে চায়'। সেই বইটির পেছনে তার দাত-মুখ খিচানো একটা সাদাকালো ছবি, নিচে লেখা 'দুর্নীতিবাজদেরকে দেখলেই এরকম ভ্যাংচি দিতে হবে'।

ছয়ফুর রহমান প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আশির দশকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে। তখন দেশে সরাসরি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। তো সব প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নিরাপত্তার জন্যই সঙ্গে পুলিশ দেওয়া হলো। ছয়ফুর তাঁর নিরাপত্তার জন্য দেওয়া পুলিশ প্রত্যাখ্যান করে বললেন, 'এদেরকে খাওয়ানোর সাধ্য আমার নাই'। তবু সরকারি চাপাচাপিতে তাকে নূন্যতম দুইজন পুলিশ সঙ্গে নিতে হলো।

সে সময় দেখা যেত রিক্সায় দুইপাশে দুই কনেস্টবল আর ছয়ফুর রহমান রিক্সার মাঝখানে উঁচু হয়ে বসে নির্বাচনি প্রচারণা করতেন।

নির্বাচনে খারাপ করেননি। সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ৬০-৬৫ জন প্রার্থীর মাঝে আট নম্বর হয়েছিলেন। তারপর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'আমি দেশের আট নম্বর প্রেসিডেন্ট। ইলেকশনের দিন বাকি সাতজন মারা গেলে আমি প্রেসিডেন্ট হতে পারতাম।'

অদ্ভুত এবং মজাদার সব নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তাঁর। যেমন, দেশের কোনো রাস্তাঘাট পাকা করার দরকার নেই! রাস্তা তুলে দিয়ে সেখানে খাল করে ফেলতে হবে! নদীমাতৃক দেশে সেই খাল দিয়ে নৌকায় লোকজন চলাচল করবে! খালের পানিতে সেচ হবে-সব সমস্যার সহজ সমাধান।

তিনি যদি কোনোভাবে ক্ষমতায় যেতে পারেন, তাহলে সিলেটের সুরমা নদীর উপরে বিশাল আকৃতির একটি দাঁড়িপাল্লা লটকানোর ওয়াদা করতেন। পাল্লার পাশে একটা অফিস খুলে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন; যার কাজ হবে সিলেটে কোনো অফিসার নিয়োগ হলে প্রথমে তাকে দাঁড়িপাল্লায় তুলে ওজন করে অফিসে রেকর্ড রাখবেন। বছর ছয়মাস পরে তাকে আবারও পাল্লায় উঠানো হবে। এতে যদি দেখা যায় তার ওজন বেড়েছে তাহলে নির্ঘাত বোঝা যাবে সিলেটের মানুষের কাছ থেকে ঘোষ খাইয়া বডি বানাইছে। আর ঘোষখোর অফিসারের রক্ষা নাই।

ঘোষখোর ধরার এই অভিনব পদ্ধতির কথা তিনি সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে টুলের উপর দাঁড়িয়ে প্রায়ই বক্তৃতা দিয়ে জনগণকে মাতিয়ে রাখতেন।

তাঁর দলের নাম ছিল 'ইসলামি সমাজতান্ত্রিক দল'।  সেই দলে কোনো সদস্য নেওয়া হতো না। এমনকি উনার স্ত্রীকেও সদস্য করেননি। তিনি বলতেন, 'একের বেশি লোক হলেই দল দুইভাগ হয়ে যাবে'।

ছক্কা ছয়ফুর বেশ কয়েকবার নির্বাচন করেছেন। কখনোই তাঁকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি; সবাই মজার ক্যান্ডিডেট হিসেবেই নিয়েছিল। কিন্তু তিনি ১৯৯০ সালের উপজেলা নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে এক কাণ্ড ছিল বটে।

যথারীতি ছয়ফুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক-ডাব। তিনি একটা হ্যান্ডমাইক বগলে নিয়ে একা একা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। পোস্টার  লিফলেট কিছুই নেই। কিন্তু বক্তৃতা তীর্যক। বাকি প্রার্থীদেরকে তুলাধুনা করে ফেলছেন। এরকম এক সন্ধ্যায় সিলেটের টিলাগড়ে তার উপর অন্য এক প্রার্থীর কয়েকজন পান্ডা হামলা করে বসল।

পরের দিন সেই খবর গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ল। সাধারণ মানুষ বিরক্ত হলো। আহা! একেবারেই সাধারণ একটা মানুষ, তাঁর সঙ্গে গুন্ডামি করার কী দরকার ছিল?

ওইদিন বিকালে স্কুল ছুটির পর প্রথম মিছিল বের হলো সিলেট পাইলট স্কুলের ছাত্রদের উদ্যোগে। মিছিল লালদিঘীর রাস্তা হয়ে বন্দরবাজারে রাজাস্কুলের সামনে আসার পর রাজাস্কুলের ছেলেরাও যোগ দিল। ব্যস, বাকিটুকু ইতিহাস। মুহূর্তেই যেন সারা শহরে খবর হয়ে গেল। সন্ধ্যার মধ্যেই পাড়া-মহল্লা থেকে মিছিল শুরু হলো ছয়ফুরের ডাব মার্কার সমর্থনে। একেবারেই সাধারণ নির্দলীয় মানুষের মিছিল। পাড়া মহল্লার দোকানগুলোর সামনে আস্ত আস্ত ডাব ঝুলতে থাকল। রিক্সাওয়ালারা ট্রাফিক জ্যামে আটকেই জোরে জোরে 'ডাব, ডাব' বলে চিৎকার শুরু করে! সেই স্লোগান ম্যাক্সিকান ওয়েভসের মতো প্রতিধ্বনি হয়ে এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় চলে যায়। অনেক প্রেসমালিক নিজেদের সাধ্যমতো হাজার দুইহাজার পোস্টার ছাপিয়ে নিজেদের এলাকায় সাঁটাতে থাকলেন। পাড়া-মহল্লার ক্লাব-সমিতিগুলো নিজেদের উদ্যোগে অফিস বসিয়ে ক্যাম্পেইন করতে থাকল।

অবস্থা এমন হলো যে, ছয়ফুর রহমানকে নির্বাচনী সভায় আনার এপয়েন্টমেন্ট পাওয়াই মুশকিল হয়ে গেল।

ছয়ফুর রহমান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাঁদের অফিস ছেড়ে দিল ছয়ফুরের নির্বাচনী প্রচার অফিস হিসেবে। পাড়ায় পাড়ায় ছেলেরা তাঁর নির্বাচনী জনসভার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেখানে আনতে হলেও আগে মূল অফিসে গিয়ে ৫০০ টাকা এডভান্স করে আসতে হয়, নইলে ছয়ফুর রহমান আসেন না! কারণ, তাঁর বাবুর্চিগিরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফুলটাইম নির্বাচন করতে হলে সংসার খরচ দরকার।

আমার মনে হয় তিনিই একমাত্র প্রার্থী, যাকে তাঁরই নির্বাচনী জনসভায় নিয়ে আসার জন্য উল্টো টাকা দিতে হচ্ছে।

নির্বাচনের দিন জনগণ এক মহ-বিস্ময় প্রত্যক্ষ করল। আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইফতেখার হোসেন শামীম জামানত রক্ষা করেছিলেন। আর মেজর জিয়ার দল সহ বাকি সবারই জামানত বাজেয়াপ্ত  হলো।  ডাব প্রতীকে ছয়ফুর পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ভোট আর চাক্কা প্রতীকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইফতেখার হোসেন শামীম পেয়েছিলেন ৩০ হাজার ভোট।

দক্ষিণ সুরমার এক কেন্দ্রে ছয়ফুর রহমানের ডাব পেয়েছিল ১৮০০+ ভোট! ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রজাপতি মার্কা পেয়েছে কুল্লে ১ ভোট।

আরও অবাক করা একটি ব্যাপার ঘটে নির্বাচনের দিন। প্রায় ভোটকেন্দ্রে জনগণ ডাব
মার্কার ব্যালেটের সাথে টাকাও ব্যালেটবাক্সে ঢুকিয়ে দেয়।

নির্বাচনের পরে ছয়ফুর রহমানের নাম পড়ে গেল ছক্কা ছয়ফুর। তিনি হাসিমুখে সেই উপাধি মেনে নিয়ে বললেন, 'নির্বাচনে ছক্কা পিটানোয় মানুষ এই নাম দিয়েছে'।

উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছক্কা ছয়ফুর সফল ছিলেন। তাঁর মূল ফোকাস ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষা ঠিক করা। হুটহাট যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাইমারি স্কুলে ঢুকে পড়তেন। শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলেই শোকজ করে দিতেন। সেই সময় প্রাইমারি স্কুলগুলো উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ছিল অনেকটাই।

তবে ছয়ফুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ নিতে হয় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কারণে। ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি বন্ধে তিনি ছিলেন আপসহীন। এতে ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যানরা একজোট হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিলে যতদূর মনে পড়ে তাঁর উপজেলা চেয়ারম্যানশিপ স্থগিত করে মন্ত্রণালয়। পরে ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে উপজেলা পরিষদ বাতিল করে দিলে ছক্কা ছয়ফুরের স্বল্পমেয়াদী জনপ্রতিনিধিত্বের চিরতরে ইতি ঘটে।

এক নির্বাচনে খরচের জন্য তিনি কিছু টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কোনো কারণে হয়নি। কিন্তু ছয়ফুর জনগণের টাকা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে সেই ঐতিহাসিক কোর্টপয়েন্টে আবার আসলেন। এসে বলেলেন, ‘আপনারা তো আমাকে নির্বাচনে খরচ চালানোর জন্য কিছু টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে না; তাই আমি আপনাদের টাকাগুলো ফেরত দিতে চাই।’ লোকজন অনেক খুশি হয়ে বলল, ‘আমরা টাকা ফেরত নিতে চাই না; এগুলো আপনি নিয়ে নিন’।

তিনি যখন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন তখন রেজিষ্টারি মাঠে তার প্রথম জনসভা ছিল। হাজার হাজার মানুষের ঢল। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তিনি তার বক্তব্যে প্রথমেই সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন,
‘আমার নির্বাচনের শুরুতে আমার দুইটা ঠেলাগাড়ি ছিল। সংসার চলে না তাই একটি বেছি লাইছি। আর আমার বাড়িতে আপনারার বসাবার জায়গা ও নাই। পয়লা যখন রিলিফের চালান পাইমু সেখান থেকে কিছু বেছিয়া আপনারার বসাবার জায়গা করবো যদি আপনারা অনুমতি দেন।’
তখন হাজার হাজার জনগণ একসাথে হেসে উঠে বলল, ‘অনুমতি দিলাম’।

তিনি ছোট ছোট কয়েকটি বইও রচনা করেন। 'বার্বুচি প্রেসিডেন্ট হতে চায়', ‘পড়, বুঝাে, বল’ তার আলোচিত বই।

অভাবের কারনে তিনি নৌকার মাঝিগিরিও করেছেন।বক্তৃতায় নিজেকে আল্লার গোলাম মোঃ ছয়ফুর বলে পরিচয় দেওয়া ছক্কা ছয়ফুর ওরফে ডাব ছয়ফুর সত্যিই আল্লাহর গোলাম।
সমাজ বিপ্লবী ছক্কা ছয়ফুর রহমান আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু রয়েগেছে তাঁর সমাজ চিন্তার অনড় মনোবল আর দুর্নীতির বিরোদ্ধে আপোষহীন চেতনার মনোভাব।
জীবনের শেষ সময়ে এই মহান মানুষটি সিলেট ডিসি অফিসের বারান্দায় চিকিৎসা খরচের দাবীতে অনশন করেছিলেন এবং দাবীও আদায় করেছিলেন। চিরকালীন দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেই এই মানুষটি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন মানুষের অধিকারের দাবীর জন্য সংগ্রামের মাধ্যমে। সরলপ্রাণ এই সমাজবিপ্লবীর প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে মানব কল্যাণে কবুল করুন।

লেখকঃ
মুহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া
বিএসএস (অনার্স) এমএসএস (অর্থনীতি)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

Thursday, October 11, 2018

বাংলাদেশ লেবার পার্টির নির্বাচনি ইশতেহার-২০১৮

     "দুর্নীতি দুঃশাসন করবো শেষ
      গড়বো নিরাপদ বাংলাদেশ"

চেতনায় ৭১ বুকে ধারন করে সম্পূর্ণ দুর্নীতি, দারিদ্র ও বেকারত্ব মুক্তি দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে, এদেশকে আধুনিক  প্রযুক্তিনির্ভর কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, শোষণহীন, ন্যায় ও সাম্যের সমাজ বিনির্মাণের  লক্ষ্যে- ১৫ বছরের মাস্টার পরিকল্পনা (মেগা পরিকল্পনা) হাতে নিয়ে  (৭১-দফা)  নির্বাচনি ইশতেহার -

১। সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র  গঠনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

২।  অদক্ষ নাগরিকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে সকল কর্মক্ষম নাগরিকদের দেশে বা বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করা হবে এবং দক্ষ বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে।

৩। এইচ এস সি পর্যন্ত একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে - আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা,ব্যবসা শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত বাধ্যতা মূলক  করা হবে।

৪।রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া কোন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা  যাবেনা।

৫।  কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে খাদ্য উৎপাদ বৃদ্ধি করা হবে ও নাগরিকদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা হবে এবং খাদ্য রপ্তানিকারক দেশ গঠনের লক্ষ্যে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

৬। নাগরিকদের মৌলিক চিকিৎসার অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরোদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৭।  রাষ্ট্রীয় খরচে কোন নাগরিকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবেনা বা চিকিৎসা ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবেনা।

৮। ভূমিহীন ও স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য  সুদবিহীন ঋণের মাধ্যমে গৃহঋণ প্রকল্প চালু করা হবে।

৯। মাদক মুক্তি দেশ গঠনের লক্ষ্যে, মাদক দ্রব্যের ব্যবহার আমদানি-রপ্তানি ও উৎপাদন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে (তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তারের অনুমতিতে ব্যবহার করা যাবে) এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের চাকুরী প্রদান করা হবেনা।

১০। সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের সময় এবং চাকুরীজীবনে ৫ বছর পরপর ড্রাগ টেস্ট দিতে হবে।

১১। সাময়িক ব্যয় কমানো লক্ষ্যে এবং প্রতিটি নাগরিককে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ সবল করে গড়ে তোলার জন্য (৩ মাসের) সাময়িক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

১২। বাল্য বিয়ে বন্ধ, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে কার্যকর আইন প্রণয়ন, সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রচারণা বৃদ্ধি এবং যৌতুক বিহীন বিয়ের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সুদ মুক্ত মেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে।

১৩। শিক্ষিত বেকারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সল্প সুদে ৫ লক্ষ টাকা কৃষি বা ক্ষুদ্র শিল্প ঋণ দেওয়া হবে।

১৪। জন্মের সময় মা ও তার পরিবারের সচেতনতা মুলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং প্রথম সন্তান জন্মের সকল ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে।

১৫। সকল নাগরিকের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং মতা প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, তবে ধর্মহীনদের ক্ষেত্রেও সমান অধিকার থাকবে।

১৬। সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নিষিদ্ধ করা হবে এবং রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে সমান সুযোগ সুবিধা ও অধিকার বজায় থাকবে।

১৭। দেশের সকল নাগরিক বা দল বা সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় দিবস গুলো মর্যাদার সাথে পালন করতে হবে এবং জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে হবে।

১৮। উম্মুক্ত সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অনুমোদন নিতে হবে।

১৯।  রাত ১১টার পর দেশের জাতীয় অনুষ্ঠান ছাড়া শব্দ দোষণ  করে কোন ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবেনা।

২০। রাষ্ট্রের কাছে নারী বা পুরুষ বা তৃতীয় লিংগের সবাই নাগরিক এবং বাংলাদেশি বলেই পরিচিত হবে।

২১। পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী বা শারীরিক অক্ষম বিশেষ শ্রেনীর জন্য রাষ্ট্র প্রয়োজনে বিশেষ সুবিধা দিবে।

২২। সন্তান বা সম্পদহীন বয়স্ক নাগরিকদের (আদালতের রায়ে শাস্তি প্রাপ্তরা ছাড়া) বিশেষ ভাতা ও চিকিৎসা ব্যয় সরকারী ভাবে বহন করা হবে।

২৩। কর্মক্ষম প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষার জন্য সরকারি ভাবে (মাসিক একশত টাকা হারে) ৫ লক্ষ টাকার জীবন বীমা চালু করা হবে।

২৪। আয়ক্ষম প্রতিটি নাগরিককে আয়করের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং বিশেষ কর কার্ড দিয়ে উৎসাহিত করা হবে।

২৫। প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং জেলা ভিত্তিক উচ্চ শিক্ষার জন্য মেধা ও গরীব ছাত্রদের জন্য উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি চালু করা হবে।

২৬। রাষ্ট্রের অধিনে পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ সরকারী করা হবে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ২০ ভাগ গরীব ছাত্রদের বিনা বেতনে অধ্যায়ন ও ২০ ভাগ সিট গ্রামের ছাত্রদের জন্য থাকতে হবে।

২৭। মুক্তিযোদ্ধা, যোদ্ধাহত ও বীরাঙ্গনা মায়েদের জন্য সরকারি যানবাহন ও চিকিৎসা ব্যয় সম্পূর্ণ ফ্রী থাকবে এবং বেসরকারি যানবাহন ও চিকিৎসা ব্যয় অর্ধেক বা হাপ করা হবে।

২৮। পররাষ্ট্র নীতি হবে সকল দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা, বন্ধুর সাথে বন্ধুর বিরোধ হলে আপোষ করা বা নিরপেক্ষ থাকা।

২৯। আইন, বিচার, শাসন ও নির্বাচন কমিশন  কে শতভাগ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়া হবে। এবং রাষ্ট্র কোন ধরনের বিশেষ সুবিধা নিবেনা।

৩০। ১৫ বছরের পরিকল্পনায় শতভাগ স্বাক্ষরতার হার অর্জন করা হবে। আন্তর্জাতিক মানের বিশেষ গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে এবং এদেশকে শিক্ষাবান্ধব দেশ হিসেবে গড়েতোলা হবে।

৩১। দলীয় বা রাষ্ট্রীয় পদে একজন নাগরিক  তিনবারের অধিক থাকতে বা নির্বাচন করতে পারবেনা।

৩২। সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে, চাকুরী প্রার্থী থেকে আবেদনের সাথে কোন ধরনের অর্থ গ্রহণ করা যাবেনা এবং সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে একবারের অধিক কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করা যাবেনা

৩৩। সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়স সকল নাগরিকের জন্য ৪০ বছর করা হবে এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ৪২ বছর করা হবে।

৩৪। বিশেষ শ্রেনীর নাগরিক ছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি সকল নিয়োগ সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে হবে, তবে বিশেষ প্রয়োজনে নারী ও পুরুষের কোটা থাকবে।

৩৫। সাময়িক বাহিনীকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে এবং নারীদের অংশ গ্রহণ বৃদ্ধি করা হবে।

৩৬। দেশ রক্ষার প্রয়োজনে বিশেষ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা হবে এবং সমসাময়িক আধুনিক বা অত্যাধুনিক অস্ত্রবল ও জনবল তৈরি করা হবে।

৩৭। সরকারি কর্মচারীদের প্রতিবছর সম্পদের হিসাব নিজ বিভাগে জমা দিতে হবে। সম্পদের হিসেবে অতিরিক্ত ব্যবধান হলে দুর্নীতি কমিশনের আওতায় এনে বিশেষ বিভাগে বিচার করা হবে।

৩৮। সরকারি চাকুরী শেষ হওয়ার ৫ বছর ব্যবধানের আগে কোন ধরনের নির্বাচন করতে পারবেনা এবং ২ বছর ব্যবধানের আগে রাষ্ট্রের অন্য কোন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেনা।

৩৯।রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ স্পীকার, প্রধান বিচারপতি ও প্রধান বিরোধীদলের নেতা ছাড়া অন্য কাউকে পুলিশ প্রটোকল দেওয়া হবেনা, তবে বিশেষ প্রয়োজনে নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিতে পারবেন।

৪০। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য ৫ বছর মেয়াদের বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ক করা হবে এবং ট্রাফিক গার্ড বাহিনী নামে একটি আলাদা বাহিনী গঠন ও এই বাহিনীর জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় করা হবে।

৪১। নিয়োগ বিভাগ বা কর্ম বিভাগ নামে আলাদা একটি বিভাগ থাকবে, যে বিভাগের মাধ্যমে সরকারি সকল নিয়োগ দিবে ও বেসরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুমোদন দিবে।

৪২। উন্নয়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করার জন্য সাবেক বৃহত্তম ১৭ জেলাকে আলাদা প্রাদেশিক মর্যাদা দিয়ে পর্যায়ক্রমে শাসন ব্যবস্থা চালু করা হবে । যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা ও সংসদ ব্যবস্থা থাকবে। 

৪৩। দেশের প্রয়োজনে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা হবে তবে রপ্তানি করা হবেনা।

৪৪। ধর্মীয় অনুষ্ঠার যার যার জাতীয় ও সংস্কৃতির অনুষ্ঠান সবার এই স্লোগানে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তি মুক্ত সম্প্রীতি ও সংস্কৃতির বন্ধনের মিলন গঠানো হবে।

৪৫। অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য আমদানিতে শুল্কহার কমানো হবে এবং উৎপাদনে ভর্তুকি দেওয়া হবে।

৪৬।  কৃষি প্রযুক্তির  মালামাল উৎপাদনের উপাদানের উপর আমদানি শুল্কমুক্ত আরো কমানো হবে।

৪৭। শব্দ, পরিবেশ ও বায়ুদূষণ বিরোধী কার্যকর আইন প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হবে এবং প্রত্যেক জেলায় শহরের বাহিরে আলাদা শিল্প নগরী স্থাপন করা হবে।

৪৮। অপ্রয়োজনীয় বিদেশি মিডিয়া বন্ধ করে দেশের মিডিয়ার প্রচার ও প্রসার করা হবে এবং প্রতিটি চ্যানেলকে একটি নিদিষ্ট বিষয় বিশেষ মাধ্যম হিসেবে প্রচারের অনুমতি প্রদান করা হবে।

৪৯। ক্রীড়াঙ্গনকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখা হবে এবং খেলোয়ারদের জন্য কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে।

৫০। প্রবাসীদের আয় ও বিনিয়োগের উপর করের হার কমানো হবে বা প্রয়োজনে তোলে নেওয়া হবে এবং
প্রবাসী ও তার পরিবার সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বিশেষ আইন করা হবে।

৫১। প্রবাসী নাগরিক সুরক্ষা আইন করে বিদেশে বাংলাদেশী প্রবাসী নাগরিকদেরকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে এবং প্রবাসীদের স্ত্রী ও সন্তানকে দেশে বিশেষ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

৫২। লেবার ভিসায় শ্রমিক বিদেশ যাওয়ার জন্য বিনা সুদে মেয়াদী  ঋণ দেওয়া হবে। এবং মেয়াদের মধ্যে বিদেশে শ্রমিকের মৃত্যু হলে ঋণ মকুফ করা হবে এবং লাশ দেশে আনার বিমান খরচ সরকার বহন করবে।

৫৩। প্রতিটি জেলা রেলপথ এর আওতাধীন ও প্রতিটি বিভাগে বা প্রদেশে বিমান বন্দর নির্মাণ করা হবে।

৫৪। শতভাগ বিদুৎতায়ন ও লাইন গুলোকে ভূগর্ভে নিয়ে দুর্ঘটনারোধ করে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।

৫৫। তামাক পণ্য উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হবে  এবং মাদক ও তামাক বিরোধী প্রচার বাড়ানো হবে। মেগা পরিকল্পনায় তামাক ও মাদক মুক্ত দেশ গড়া হবে।

৫৬। পারমাণবিক শক্তিকে মানবতার কল্যাণের জন্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে এবং বিদুৎ শক্তি উৎপাদনে ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে, দেশের জনগন প্রয়োজন মনে করলে, দেশ রক্ষায় পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার করা হবে।

৫৭। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সাথে অধিক সুসম্পর্ক স্থাপন করা হবে, আমদানি ও রপ্তানিতে ভারসাম্য আনা হবে এবং বিদেশি মুদ্রা ও সোনার রিজার্ভ বৃদ্ধি করা হবে।

৫৮। সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সীমান্তে হত্যা ও চোরাচালান বন্ধ এবং বিজিবিকে অধিক শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করা হবে।

৫৯। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে চতুর্মুখী ভাবে আধুনিকায়ন করা হবে এবং চক্রাকার সড়ক ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। দেশে গাড়ি উৎপাদন শিল্প স্থাপনে উৎসাহ দেওয়া হবে।

৬০। দল যার যার, দেশ, মাতৃভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন সবার, এই মন্ত্রে জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে।

৬১। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থি দমনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং রাষ্ট্রীয় গুম-খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা হবে।

৬২। চোরাচালান, মাদকপাচার, নারী ও শিশু পাচার এবং অর্থ পাচার বন্ধ করা হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

৬৩। উন্নয়ন বন্টনের ক্ষেত্রে ইনসাফ ও সমতার সমন্বয় করা হবে এবং আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা হবে।

৬৪। রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হবে পুজিবাদ, সমাজতত্ত্ব ও ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার কল্যাণময় কাঠামোর সমন্বিত  সংযোজনের এমন একটি রুপ, যেখানে ইনসাপ ও সাম্যের সাথে মৌলিক অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই অর্থ ব্যবস্থার নাম হলো- "মিক্স আইডিয়াল ইকোনোমি"

৬৫। বিনোদনের জন্য প্রতিটি জেলায় আধুনিক পার্ক ও চিড়াখানা গড়ে তোলা হবে।

৬৬। ঔষধ শিল্পে মান নিশ্চিত করা হবে এবং প্রধান রপ্তানিকৃত শিল্পে পরিণত করা হবে।

৬৭। পোষাক শিল্পের মাধ্যমে বিশ্ববাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করা হবে।

৬৮। শ্রমিকদের কর্মবীমা ও চিকিৎসা বীমা চালু করা হবে এবং শ্রমিক নিরাপত্তা আইন করা হবে।

৬৯। (নারী-পুরুষ) ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য সমন্বয় করা হবে এবং নারী নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে আইন বাস্তবায়ন করা হবে এবং পুরুষ নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়ন করা হবে।

৭০। সংবিধান পরিপন্থী সকল রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

৭১। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে  ন্যায় ও কল্যাণের শাসন প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, নিরাপদ ও আনন্দময় জীবনের জন্য নিরাপদ দেশ গঠন এবং  বর্তমান আধুনিক বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে সর্বাধুনিক কল্যাণকর ও সুন্দর দেশে হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য-

লেখকঃ
মুহাঃ মহসীন ভূঁইয়া

আহবায়ক
লেবার পার্টির নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি ও
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ লেবার পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি।