জন্ম-মৃত্যু ও মানুষের ধর্মপথ
মানুষের আত্মা হলো পবিত্র আলো, সে আলো সৃষ্টির উৎস স্রষ্টার হুকুম থেকে আসে, আত্মা এমন এক আলো যেখানে আলোর স্রষ্টা থাকে। প্রতিটি মানুষ আলোর বাহক বা ধারক, আলোর অবস্থান থাকলেও আকার নেই, সুতারাং আত্মার আকার নেই, আত্মা নিরাকার, অর্থাৎ মানুষের চিন্তায় বা ধারণায় বা জ্ঞানের সীমানায় আত্মার কোন আকার নেই। সেভাবে বলতে গেলে আলোর উৎস বা স্রষ্টারও আকার নেই সৃষ্টির ধারণা বা জ্ঞান চিন্তার সীমানায়। আলোর সাথে প্রদীপের যেমন সম্পর্ক আছে উৎস মূলে, ঠিক তেমনি মানুষের আত্মার সাথে স্রষ্টার সম্পর্ক । মানুষ নিজ আত্মার আলোর মাধ্যমে স্রষ্টার ধারক বা বাহক। মানুষ কষ্ট পেলে আত্মাও কষ্ট পায়, আত্মা কষ্ট পেলে স্রষ্টাও কষ্ট পায়। মানুষ আনন্দ পেলে আত্মা আনন্দ পায়, আর আত্মা আনন্দ পেলে আত্মার আলোতে থাকা স্রষ্টা ও আনন্দ পায়। সুতারাং
মানুষকে কষ্ট দিলে স্রষ্টা কষ্ট পায়, আনন্দ দিলে স্রষ্টা আনন্দ পায়।
মানুষকে কষ্ট দিলে স্রষ্টা কষ্ট পায়, আনন্দ দিলে স্রষ্টা আনন্দ পায়।
মৃত্যুঃ
জন্ম আর মৃত্যুর ফায়সালা জমিনে নয়, আসমানে হয়। জন্মের মত মৃত্যুটাও মানুষকে স্বাভাবিক নিয়মে মেনে নিতে হয়। কার কখন মৃত্যু হবে, কেউ বলতে পারবেনা। আমার বা আপনার, আমাদের সকলকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যু মানে পৃথিবী থেকে প্রস্থান বা চিরবিদায়। আজ পর্যন্ত যত মানুষ দুনিয়াতে এসেছে, তাদের সবাইকে চলে যেতে হবে। সৃষ্টিশীলের সৃষ্টিনাশ হবেই। এটা আস্তিক বা নাস্তিক সবাই একবাক্যে বিশ্বাস করে এবং মানে। এখন পর্যন্ত কোন নাস্তিক বা মানুষ বা অন্য সৃষ্ট জীব এটা বলেনি যে, আমি আমৃত্যু।
স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক, কালে বা অকালে মৃত্যু আসবেই। মৃত্যুকে নিয়ে সবারই একটা কৌতূহল আছে, যদিও মরে এর সাদ বা জানার ইচ্ছা কারও নেই। কথায় আছে সবাই বেহেশতে বা স্বর্গে যেতে চায়, কিন্তু কেউ মরতে চায়না। অথচ বেহেশত বা স্বর্গ প্রাপ্তি হয় মৃত্যুর পর।
এই মৃত্যু আসলে কি ?
এর শতভাগ সঠিক ও বাস্তব জ্ঞান পাওয়া যেত, যদি মৃত্যুর পর আবার জীবিত হয়ে দুনিয়াতে আসা যেত। কিন্তু এটা কি সম্ভব ? এক কথায় অসম্ভব। মৃত্যুর পর দুনিয়াতে আবার ফিরে আসবে এই আশায় কেউ কি মরতে চাইবে ? মনে হয় কেউ চাইবেনা। মানুষ আল্লাহ বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করুক বা না করুক। এটা সবাই বিশ্বাস করে যে, মৃত্যুর পর আবার মানুষ হয়ে একই আকারে আর আসবেনা। পৃথিবী থেকে মৃত্যুর মাধ্যমে চিরবিদায় হতে হয়। যদি আসার সুযোগ থাকতো, তাহলে অন্তত মুসলমানদের নবীরা বা হিন্দুদের দেবতারা বা ঈশায়ীদের যীশু সবার আগে আসার সুযোগ পেত। এদের কাউকে যেহেতু স্রষ্টা বা দুনিয়ার নিয়ম মৃত্যুর পর আবার আসার সুযোগ দেয়নি। আমরাতো সাধারণ মানুষ। আমাদের কোন সৎ কর্মের জন্য এই সুযোগ দিবে ? মৃত্যু হলো এমন এক ধ্বংস বা বিনাশ, যার মাধ্যমে দেহের থেকে প্রাণের বা আমার থেকে আমির প্রস্থান হয়। সৃষ্টিজগতে আমার দেহ পরে থাকে আর আমি প্রাণ দেহ ত্যাগ করে আগের জগতে চলে যাই।
স্রষ্টাঃ
স্রষ্টার আসন তৈরি হয়েছে জন্ম-মৃত্যুর মাধ্যমে। জন্ম আর মৃত্যু একজন সৃষ্টিকারী ও সৃষ্টির রুপ যেমন প্রমাণ করে, ঠিক তেমনি ভাবে স্রষ্টাতত্ত্বের আদর্শিক প্রমাণ তৈরি হয়। যদি জন্মই অনন্ত হয়, মৃত্যুর বিধান চিরতরে বিনাশ হয়, তাহলে স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টির কাছে থাকবেনা। প্রতিটি সৃষ্টি নিজেই স্রষ্টার আসনে বসবে। প্রত্যেক সৃষ্টি নিজেই হবে একজন স্রষ্টার দাবিদার। মৃত্যুহীন পৃথিবী জন্মহীন স্রষ্টার সমান। প্রাণের জন্মই হয় মৃত্যু জন্য, জন্ম আর মৃত্যর রহস্য জানা সৃষ্টির জন্য নয়, এটা একান্তই সৃষ্টি সীমার বাহিরে। জন্মের মাধ্যমে প্রাণ বা আত্মার সৃষ্টি হয়না, দেহের সৃষ্টি হয়। প্রাণের বিনাশ সৃষ্টি জগতে অসম্ভব। পৃথিবী নিজেই সৃষ্ট, তার নিজের মৃত্যু বা ধ্বংস অনিবার্য। প্রাণের সৃষ্টি বা জন্ম স্রষ্টালয়ে হয়েছে, মৃত্যু কি করে সৃষ্টিলয়ে হবে ? যার সৃষ্টি হয়, সে স্রষ্টার সৃষ্টিকে মৃত্যু দিতে পারেনা। জন্ম আর মৃত্যু হলো একান্ত স্রষ্টার নির্দেশ বা আদেশ। আত্মার বিনাশ সৃষ্টিশীল পৃথিবীতে নয়, বিনাশ হবে সৃষ্টির বাহিরে স্রষ্টার জগতে। প্রাণের জন্মে প্রাণীর নিজ ইচ্ছা বা ক্ষমতা যেমন নেই, প্রাণীর প্রাণ বিনাশের ক্ষমতা তার অধীনে নয়, সৃষ্টিশীল পৃথিবী হলো আগমন আর প্রত্যাবর্তনের একটি চক্রের কাল। এখানে তৈরি বা সৃষ্টি নয়, শুধু আগমন আর প্রত্যাবর্তন হয়। সৃষ্টি যেমন সৃষ্টি করতে পারেনা, তেমনি ভাবে সৃষ্টি চিরতরে বিনাশ বা ধ্বংস করতে পারেনা। সৃষ্টি বা জন্ম যেমন চির অজানা রুপ, মৃত্যু বা চির বিনাশ সৃষ্টিজগতে অজানাই থাকবে। প্রাণের রুপ দেহে স্থায়ী নয়, প্রাণ হলো স্রষ্টার হুকুম আর দেহ হলো প্রাণের ধারক। প্রাণ আর দেহ এক নয়, দু'টার সৃষ্টি এক জগতে হয়নি, এক সময়ও নয়। দেহ তৈরি পৃথিবীতে, এর বিনাশও পৃথিবীতে। আর প্রাণ বা আত্মার সৃষ্টি যেহেতু পৃথিবীতে হয়না, বিনাশ কি করে হবে ? দেহের জন্ম পৃথিবীতে, মৃত্যুও পৃথিবীতে হয়। প্রাণ বা আত্মার জন্ম দেহের অজানা, এর চিরবিনাশ বা চিরতরে মৃত্যুও অজানা। এটা অস্থায়ী দেহে স্থায়ী নয়। পৃথিবীতে আত্মার জন্ম হয়না, দেহের সৃষ্টি হয় এবং দেহের মৃত্যু হয়, আত্মার মৃত্যুও হয়না। আত্মা দেহের ভিতর আসে এবং দেহের মৃত্যুর মাধ্যমে আত্মা দেহ ত্যাগ করে। দেহ হলো প্রাণহীন খাচা। এটা সৃষ্টির শুরুতে প্রাণহীন আবার শেষেও প্রাণহীন হয়ে বিনাশ হয়। দেহের মৃত্যু হয় পৃথিবীতে, প্রাণ বা আত্ম পৃথিবীতে মৃত্যু হয়না। প্রাণ হলো স্রষ্টার রুপের ধারক,দেহ হলো সৃষ্টির আকার বা রুপ। দেহ বস্তুগত সৃষ্টি, প্রাণ অবস্তুগত শক্তি। দেহের আকার আছে, প্রাণ নিরাকার। দেহ প্রাণহীন হলে মৃত, প্রাণ দেহহীন হলেও মৃত নয়। দেহের অস্তিত্ব পরিবর্তনশীল, প্রাণের নিরাকার রুপ পরিবর্তনশীল নয়। প্রাণের মৃত্যু হবে প্রাণের জন্মের মতই স্রষ্টার হুকুম বা নির্দেশে। প্রাণ দৃষ্টিপটের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শক্তি, দেহ হলো দৃষ্টিগোচর হওয়া মাংসপিণ্ডের আকার। দেহের মৃত্যুতে প্রাণের অস্তিত্ব বিনাশ নয়, দেহ বিনাশ হয়।
জন্ম আর মৃত্যুর ফায়সালা জমিনে নয়, আসমানে হয়। জন্মের মত মৃত্যুটাও মানুষকে স্বাভাবিক নিয়মে মেনে নিতে হয়। কার কখন মৃত্যু হবে, কেউ বলতে পারবেনা। আমার বা আপনার, আমাদের সকলকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যু মানে পৃথিবী থেকে প্রস্থান বা চিরবিদায়। আজ পর্যন্ত যত মানুষ দুনিয়াতে এসেছে, তাদের সবাইকে চলে যেতে হবে। সৃষ্টিশীলের সৃষ্টিনাশ হবেই। এটা আস্তিক বা নাস্তিক সবাই একবাক্যে বিশ্বাস করে এবং মানে। এখন পর্যন্ত কোন নাস্তিক বা মানুষ বা অন্য সৃষ্ট জীব এটা বলেনি যে, আমি আমৃত্যু।
স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক, কালে বা অকালে মৃত্যু আসবেই। মৃত্যুকে নিয়ে সবারই একটা কৌতূহল আছে, যদিও মরে এর সাদ বা জানার ইচ্ছা কারও নেই। কথায় আছে সবাই বেহেশতে বা স্বর্গে যেতে চায়, কিন্তু কেউ মরতে চায়না। অথচ বেহেশত বা স্বর্গ প্রাপ্তি হয় মৃত্যুর পর।
এই মৃত্যু আসলে কি ?
এর শতভাগ সঠিক ও বাস্তব জ্ঞান পাওয়া যেত, যদি মৃত্যুর পর আবার জীবিত হয়ে দুনিয়াতে আসা যেত। কিন্তু এটা কি সম্ভব ? এক কথায় অসম্ভব। মৃত্যুর পর দুনিয়াতে আবার ফিরে আসবে এই আশায় কেউ কি মরতে চাইবে ? মনে হয় কেউ চাইবেনা। মানুষ আল্লাহ বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করুক বা না করুক। এটা সবাই বিশ্বাস করে যে, মৃত্যুর পর আবার মানুষ হয়ে একই আকারে আর আসবেনা। পৃথিবী থেকে মৃত্যুর মাধ্যমে চিরবিদায় হতে হয়। যদি আসার সুযোগ থাকতো, তাহলে অন্তত মুসলমানদের নবীরা বা হিন্দুদের দেবতারা বা ঈশায়ীদের যীশু সবার আগে আসার সুযোগ পেত। এদের কাউকে যেহেতু স্রষ্টা বা দুনিয়ার নিয়ম মৃত্যুর পর আবার আসার সুযোগ দেয়নি। আমরাতো সাধারণ মানুষ। আমাদের কোন সৎ কর্মের জন্য এই সুযোগ দিবে ? মৃত্যু হলো এমন এক ধ্বংস বা বিনাশ, যার মাধ্যমে দেহের থেকে প্রাণের বা আমার থেকে আমির প্রস্থান হয়। সৃষ্টিজগতে আমার দেহ পরে থাকে আর আমি প্রাণ দেহ ত্যাগ করে আগের জগতে চলে যাই।
স্রষ্টাঃ
স্রষ্টার আসন তৈরি হয়েছে জন্ম-মৃত্যুর মাধ্যমে। জন্ম আর মৃত্যু একজন সৃষ্টিকারী ও সৃষ্টির রুপ যেমন প্রমাণ করে, ঠিক তেমনি ভাবে স্রষ্টাতত্ত্বের আদর্শিক প্রমাণ তৈরি হয়। যদি জন্মই অনন্ত হয়, মৃত্যুর বিধান চিরতরে বিনাশ হয়, তাহলে স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টির কাছে থাকবেনা। প্রতিটি সৃষ্টি নিজেই স্রষ্টার আসনে বসবে। প্রত্যেক সৃষ্টি নিজেই হবে একজন স্রষ্টার দাবিদার। মৃত্যুহীন পৃথিবী জন্মহীন স্রষ্টার সমান। প্রাণের জন্মই হয় মৃত্যু জন্য, জন্ম আর মৃত্যর রহস্য জানা সৃষ্টির জন্য নয়, এটা একান্তই সৃষ্টি সীমার বাহিরে। জন্মের মাধ্যমে প্রাণ বা আত্মার সৃষ্টি হয়না, দেহের সৃষ্টি হয়। প্রাণের বিনাশ সৃষ্টি জগতে অসম্ভব। পৃথিবী নিজেই সৃষ্ট, তার নিজের মৃত্যু বা ধ্বংস অনিবার্য। প্রাণের সৃষ্টি বা জন্ম স্রষ্টালয়ে হয়েছে, মৃত্যু কি করে সৃষ্টিলয়ে হবে ? যার সৃষ্টি হয়, সে স্রষ্টার সৃষ্টিকে মৃত্যু দিতে পারেনা। জন্ম আর মৃত্যু হলো একান্ত স্রষ্টার নির্দেশ বা আদেশ। আত্মার বিনাশ সৃষ্টিশীল পৃথিবীতে নয়, বিনাশ হবে সৃষ্টির বাহিরে স্রষ্টার জগতে। প্রাণের জন্মে প্রাণীর নিজ ইচ্ছা বা ক্ষমতা যেমন নেই, প্রাণীর প্রাণ বিনাশের ক্ষমতা তার অধীনে নয়, সৃষ্টিশীল পৃথিবী হলো আগমন আর প্রত্যাবর্তনের একটি চক্রের কাল। এখানে তৈরি বা সৃষ্টি নয়, শুধু আগমন আর প্রত্যাবর্তন হয়। সৃষ্টি যেমন সৃষ্টি করতে পারেনা, তেমনি ভাবে সৃষ্টি চিরতরে বিনাশ বা ধ্বংস করতে পারেনা। সৃষ্টি বা জন্ম যেমন চির অজানা রুপ, মৃত্যু বা চির বিনাশ সৃষ্টিজগতে অজানাই থাকবে। প্রাণের রুপ দেহে স্থায়ী নয়, প্রাণ হলো স্রষ্টার হুকুম আর দেহ হলো প্রাণের ধারক। প্রাণ আর দেহ এক নয়, দু'টার সৃষ্টি এক জগতে হয়নি, এক সময়ও নয়। দেহ তৈরি পৃথিবীতে, এর বিনাশও পৃথিবীতে। আর প্রাণ বা আত্মার সৃষ্টি যেহেতু পৃথিবীতে হয়না, বিনাশ কি করে হবে ? দেহের জন্ম পৃথিবীতে, মৃত্যুও পৃথিবীতে হয়। প্রাণ বা আত্মার জন্ম দেহের অজানা, এর চিরবিনাশ বা চিরতরে মৃত্যুও অজানা। এটা অস্থায়ী দেহে স্থায়ী নয়। পৃথিবীতে আত্মার জন্ম হয়না, দেহের সৃষ্টি হয় এবং দেহের মৃত্যু হয়, আত্মার মৃত্যুও হয়না। আত্মা দেহের ভিতর আসে এবং দেহের মৃত্যুর মাধ্যমে আত্মা দেহ ত্যাগ করে। দেহ হলো প্রাণহীন খাচা। এটা সৃষ্টির শুরুতে প্রাণহীন আবার শেষেও প্রাণহীন হয়ে বিনাশ হয়। দেহের মৃত্যু হয় পৃথিবীতে, প্রাণ বা আত্ম পৃথিবীতে মৃত্যু হয়না। প্রাণ হলো স্রষ্টার রুপের ধারক,দেহ হলো সৃষ্টির আকার বা রুপ। দেহ বস্তুগত সৃষ্টি, প্রাণ অবস্তুগত শক্তি। দেহের আকার আছে, প্রাণ নিরাকার। দেহ প্রাণহীন হলে মৃত, প্রাণ দেহহীন হলেও মৃত নয়। দেহের অস্তিত্ব পরিবর্তনশীল, প্রাণের নিরাকার রুপ পরিবর্তনশীল নয়। প্রাণের মৃত্যু হবে প্রাণের জন্মের মতই স্রষ্টার হুকুম বা নির্দেশে। প্রাণ দৃষ্টিপটের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শক্তি, দেহ হলো দৃষ্টিগোচর হওয়া মাংসপিণ্ডের আকার। দেহের মৃত্যুতে প্রাণের অস্তিত্ব বিনাশ নয়, দেহ বিনাশ হয়।
সময়ঃ
সময় আর নদীর বহমান স্রোত ঘড়ির কাটার মতই চলমান। এরা কারো জন্য অপেক্ষা করেনা।পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর স্থির হতে পারে, বন্ধ হতে পারে মানুষের তৈরি আয়োজন। সময়, বহমান নদীর স্রোত আর ঘড়ির কাটা চলবেই। অন্ধজন আলোহীন, তাই বলে সূর্যের আলো কোনদিন বন্ধ হয়নি, হবেওনা। পৃথিবীর শুরু যেহেতু আছে, শেষও হবে একদিন। তবে সময়ের শুরু নেই, শেষও নেই। সময় হলো স্রষ্টার অস্তিত্বশীলতার পথিক বা সিম্বল। সময়ের মহাকালে আজকের পৃথিবীর সম্পূর্ণ ইতিহাসের ছবিটাকে আমি এক সেকেন্ডের হাজার কোটি ভাগে এক অংশ মনে করতে পারি, বা তার চেয়ে আরো কোটি কোটি গুণ ছোট। অর্থাৎ মানব রচিত সর্বছোট সময়ের খন্ডটি হলো পৃথিবীর সমস্ত জীবনের আয়ুরেখা। পৃথিবী হলো মহাকাশের হাজার কোটির ছায়াপথ পরিবারের মাঝারি ধরনের একটি ছায়াপথের সদস্যের অন্তর্ভুক্ত। এক ছায়াপথে হাজার কোটি নক্ষত্র থাকে, আর ঐ নক্ষত্রের একজন হলো সূর্য। সূর্যের মহালয়ে ঘূর্ণিত একটি মাঝারি মানের অংশ হলো পৃথিবী। যার বিশাল পরিধীতে সাতশত কোটি মানুষসহ সকল প্রাণীজগৎ বসবাস করে। সাথে আছে প্রাণহীন মানব রচিত বিশাল কর্মযজ্ঞ। আর এসবই হচ্ছে ঐ মহাকালে এক সেকেন্ডের অতি সূক্ষ্মতর সময়ে। আমি মনেকরি, সময় মানেই হলো স্রষ্টাতত্ত্বের শুরু,যার শুরু নেই, শেষও হবেনা। এই সময় হলো মহাকালের ঘড়ি। শুরু আর শেষ আছে সৃষ্টির, স্রষ্টার বা সময়ের শুরুও নেই আবার শেষও হবেনা। এটা চিরন্তন সত্য ও চিরস্থায়ী মহাকালের চলমান ঘড়ি। যার আকার লুকিয়ে থাকে নিরাকার সময়ের ভিতর।
সময় আর নদীর বহমান স্রোত ঘড়ির কাটার মতই চলমান। এরা কারো জন্য অপেক্ষা করেনা।পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর স্থির হতে পারে, বন্ধ হতে পারে মানুষের তৈরি আয়োজন। সময়, বহমান নদীর স্রোত আর ঘড়ির কাটা চলবেই। অন্ধজন আলোহীন, তাই বলে সূর্যের আলো কোনদিন বন্ধ হয়নি, হবেওনা। পৃথিবীর শুরু যেহেতু আছে, শেষও হবে একদিন। তবে সময়ের শুরু নেই, শেষও নেই। সময় হলো স্রষ্টার অস্তিত্বশীলতার পথিক বা সিম্বল। সময়ের মহাকালে আজকের পৃথিবীর সম্পূর্ণ ইতিহাসের ছবিটাকে আমি এক সেকেন্ডের হাজার কোটি ভাগে এক অংশ মনে করতে পারি, বা তার চেয়ে আরো কোটি কোটি গুণ ছোট। অর্থাৎ মানব রচিত সর্বছোট সময়ের খন্ডটি হলো পৃথিবীর সমস্ত জীবনের আয়ুরেখা। পৃথিবী হলো মহাকাশের হাজার কোটির ছায়াপথ পরিবারের মাঝারি ধরনের একটি ছায়াপথের সদস্যের অন্তর্ভুক্ত। এক ছায়াপথে হাজার কোটি নক্ষত্র থাকে, আর ঐ নক্ষত্রের একজন হলো সূর্য। সূর্যের মহালয়ে ঘূর্ণিত একটি মাঝারি মানের অংশ হলো পৃথিবী। যার বিশাল পরিধীতে সাতশত কোটি মানুষসহ সকল প্রাণীজগৎ বসবাস করে। সাথে আছে প্রাণহীন মানব রচিত বিশাল কর্মযজ্ঞ। আর এসবই হচ্ছে ঐ মহাকালে এক সেকেন্ডের অতি সূক্ষ্মতর সময়ে। আমি মনেকরি, সময় মানেই হলো স্রষ্টাতত্ত্বের শুরু,যার শুরু নেই, শেষও হবেনা। এই সময় হলো মহাকালের ঘড়ি। শুরু আর শেষ আছে সৃষ্টির, স্রষ্টার বা সময়ের শুরুও নেই আবার শেষও হবেনা। এটা চিরন্তন সত্য ও চিরস্থায়ী মহাকালের চলমান ঘড়ি। যার আকার লুকিয়ে থাকে নিরাকার সময়ের ভিতর।
দেহ খাঁচারঃ
প্রচলিত প্রবাদ আছে-শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু, এই কাল বা সময়টি হলো একজীবন। পৃথিবীর এক জীবনে একবার জন্ম এবং একবারই মৃত্যু হয়। এই সময় একজন মানুষ স্বাভাবিক নিয়ম মতে, শিশুকাল, কিশোরকাল, তরুনকাল,যৌবনকাল এবং বৃদ্ধকাল হয়ে জীবনের শেষকালের সমাপ্তি হয়। আবার কিছু মানুষ কালের ভিতর অকালেও জীবনের মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয়। সেটা হতে পারে জন্মের পরপর, অথবা মাঝামাঝি যেকোন সময়ে। মানুষ জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ে যে কাল অতিবাহিত করে তাকে এক কথায় জীবনকাল বলা হয়। কেন আমি বা তুমি এই পৃথিবীতে এসেছি ?
কিসের মোহে এখানে থেকে যেতে চাই ? জন্মের আগে কোথায় ছিলাম?
কোন আকারে ছিলাম ? আমরা কি নিরাকার ছিলাম ? আমরা কি পৃথিবীতে আসার আগে অস্থিতহীন ছিলাম ? এমন প্রশ্ন মাথায় আসতেই পারে। আমি কোন এক ধর্ম মতের যুক্তিকে যদি তুলেধরি, তাহলে অন্য ধর্মের অনুসারীরা হয়তে মানতে চাইবেনা। আবার যারা ধর্মই মানেনা, তারা বলবে, জীবনের আগে শূন্য আবার পরেও শূন্য। আমি আমার মতামত বলবো, আপনাকে মানতে হবে বা অমান্য করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাদকতা নেই। আমি মনে করি, মানুষ হিসেবে মতামত দেওয়ার অধিকার আমার রয়েছে। এই পৃথিবীটা আমার বা আপনার বা শুধু মানুষের নয়। এখানে বাচাঁর অধিকার সকল সৃষ্টিকুলের। সবাই নিজ যোগ্যতা বা ক্ষমতার আলোকে বেঁচে থাকতে পারবে, এমনটা আমি মনে করি। জন্ম ও মৃত্যু বিচার করলে সকল সৃষ্টিকুল হলে আগমন ও প্রস্থানকারী, কেউ স্থায়ী অধিবাসী নয়। পার্থক্য শুধু আগে এসে আগে যায়, পরে এসে পরে যায়। বয়সের বড় হওয়াটা কারো যোগ্যতা বা ব্যক্তিগত গুণ নয়। এটা হলো নিয়ম, পৃথিবীতে আমার বড় যেমন কোটি কোটি সৃষ্টি রয়েছে, ঠিক তেমনি ছোটও রয়েছে। দুনিয়ার বা পৃথিবীর মাঝে ছোট- বড় আছে, কিন্তু আমাদের আত্মা বা রুহ বা আমার ভিতরের আমি বা তোমার ভিতরের তুমির মাঝে কি ছোট- বড় আছে ? 'না' নেই। এটা একটা স্পীড বা শক্তি বা হুকুম বা আদেশ বা অদৃশ্য প্রোগ্রামের শুরু।যেমন 'আলো', এটা কোথায় থেকে আসে আবার কোথায় চলে যায় ? অথবা 'অন্ধকার'। আচ্ছা ধরুন, আপনি একটা অন্ধকার কক্ষে আছে, দরজা জানালা বন্ধ। বাহিরের আলো ভিতরে আসতে পারছেনা। এখন আপনি একটা প্রদীপ জ্বালানোর কক্ষটি আলোকীত হলো। বলুনতো গহীনকালো অন্ধকার কোথায় চলে গেল? সেতো এতক্ষন আপনার সাথেই ছিল। আবার আপনি যখন প্রদীপটির আলো নিবিয়ে দিবেন, সাথে সাথে রুমটি অন্ধকার হয়ে যাবে। হঠাৎ কোথায় থেকে এলো এই অন্ধকার ? সেতো ছিলনা। আমি বলছি, বন্ধ ঘরে বা রুমে আলো আর অন্ধকারে মতই আমাদের প্রাণ বা রুহ বা আমার ভিতর আমি আসি +জন্ম) এবং চলে (মৃত্যু) যাই। আলো আর অন্ধকার যেমন আমরা চিনতে পারিনা, ধরতে পারিনা, রাখতে পারিনা, নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা এবং এর যেমন আকার বা বয়স নির্নয় করা যাবেনা, ঠিক তেমনি রুহ বা প্রাণেরও বয়স নেই। সে শুধু ঐ বন্ধ ঘরের ভিতরে আলো আর অন্ধকারের মত করে আসে, কিছুকাল থাকে, আবার চলে যায়। আমাদের শরীল হলো একটা অন্ধকার বন্ধখাঁচা, রুহ বা প্রাণ আলো হয়ে জন্ম নেয়, আবার অন্ধকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে চলে যায়। আসার আগে এবং যাওয়ার পরে তার অবস্থান হলো একটি শক্তি বা হুকুমের আকারে। আলোকে যেমন অন্ধকার দিয়ে ঢেকে রাখা যায়না, রুহুকে তেমনি খাঁচা দিয়ে আটকে রাখা যায়না। যেই গতিতে এসেছে, সেই গতিতে চলে যায়।
প্রচলিত প্রবাদ আছে-শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু, এই কাল বা সময়টি হলো একজীবন। পৃথিবীর এক জীবনে একবার জন্ম এবং একবারই মৃত্যু হয়। এই সময় একজন মানুষ স্বাভাবিক নিয়ম মতে, শিশুকাল, কিশোরকাল, তরুনকাল,যৌবনকাল এবং বৃদ্ধকাল হয়ে জীবনের শেষকালের সমাপ্তি হয়। আবার কিছু মানুষ কালের ভিতর অকালেও জীবনের মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয়। সেটা হতে পারে জন্মের পরপর, অথবা মাঝামাঝি যেকোন সময়ে। মানুষ জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ে যে কাল অতিবাহিত করে তাকে এক কথায় জীবনকাল বলা হয়। কেন আমি বা তুমি এই পৃথিবীতে এসেছি ?
কিসের মোহে এখানে থেকে যেতে চাই ? জন্মের আগে কোথায় ছিলাম?
কোন আকারে ছিলাম ? আমরা কি নিরাকার ছিলাম ? আমরা কি পৃথিবীতে আসার আগে অস্থিতহীন ছিলাম ? এমন প্রশ্ন মাথায় আসতেই পারে। আমি কোন এক ধর্ম মতের যুক্তিকে যদি তুলেধরি, তাহলে অন্য ধর্মের অনুসারীরা হয়তে মানতে চাইবেনা। আবার যারা ধর্মই মানেনা, তারা বলবে, জীবনের আগে শূন্য আবার পরেও শূন্য। আমি আমার মতামত বলবো, আপনাকে মানতে হবে বা অমান্য করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাদকতা নেই। আমি মনে করি, মানুষ হিসেবে মতামত দেওয়ার অধিকার আমার রয়েছে। এই পৃথিবীটা আমার বা আপনার বা শুধু মানুষের নয়। এখানে বাচাঁর অধিকার সকল সৃষ্টিকুলের। সবাই নিজ যোগ্যতা বা ক্ষমতার আলোকে বেঁচে থাকতে পারবে, এমনটা আমি মনে করি। জন্ম ও মৃত্যু বিচার করলে সকল সৃষ্টিকুল হলে আগমন ও প্রস্থানকারী, কেউ স্থায়ী অধিবাসী নয়। পার্থক্য শুধু আগে এসে আগে যায়, পরে এসে পরে যায়। বয়সের বড় হওয়াটা কারো যোগ্যতা বা ব্যক্তিগত গুণ নয়। এটা হলো নিয়ম, পৃথিবীতে আমার বড় যেমন কোটি কোটি সৃষ্টি রয়েছে, ঠিক তেমনি ছোটও রয়েছে। দুনিয়ার বা পৃথিবীর মাঝে ছোট- বড় আছে, কিন্তু আমাদের আত্মা বা রুহ বা আমার ভিতরের আমি বা তোমার ভিতরের তুমির মাঝে কি ছোট- বড় আছে ? 'না' নেই। এটা একটা স্পীড বা শক্তি বা হুকুম বা আদেশ বা অদৃশ্য প্রোগ্রামের শুরু।যেমন 'আলো', এটা কোথায় থেকে আসে আবার কোথায় চলে যায় ? অথবা 'অন্ধকার'। আচ্ছা ধরুন, আপনি একটা অন্ধকার কক্ষে আছে, দরজা জানালা বন্ধ। বাহিরের আলো ভিতরে আসতে পারছেনা। এখন আপনি একটা প্রদীপ জ্বালানোর কক্ষটি আলোকীত হলো। বলুনতো গহীনকালো অন্ধকার কোথায় চলে গেল? সেতো এতক্ষন আপনার সাথেই ছিল। আবার আপনি যখন প্রদীপটির আলো নিবিয়ে দিবেন, সাথে সাথে রুমটি অন্ধকার হয়ে যাবে। হঠাৎ কোথায় থেকে এলো এই অন্ধকার ? সেতো ছিলনা। আমি বলছি, বন্ধ ঘরে বা রুমে আলো আর অন্ধকারে মতই আমাদের প্রাণ বা রুহ বা আমার ভিতর আমি আসি +জন্ম) এবং চলে (মৃত্যু) যাই। আলো আর অন্ধকার যেমন আমরা চিনতে পারিনা, ধরতে পারিনা, রাখতে পারিনা, নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা এবং এর যেমন আকার বা বয়স নির্নয় করা যাবেনা, ঠিক তেমনি রুহ বা প্রাণেরও বয়স নেই। সে শুধু ঐ বন্ধ ঘরের ভিতরে আলো আর অন্ধকারের মত করে আসে, কিছুকাল থাকে, আবার চলে যায়। আমাদের শরীল হলো একটা অন্ধকার বন্ধখাঁচা, রুহ বা প্রাণ আলো হয়ে জন্ম নেয়, আবার অন্ধকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে চলে যায়। আসার আগে এবং যাওয়ার পরে তার অবস্থান হলো একটি শক্তি বা হুকুমের আকারে। আলোকে যেমন অন্ধকার দিয়ে ঢেকে রাখা যায়না, রুহুকে তেমনি খাঁচা দিয়ে আটকে রাখা যায়না। যেই গতিতে এসেছে, সেই গতিতে চলে যায়।
ধ্যানে মিলবে পরম জ্ঞানঃ
ধ্যান হলো পেশিক্রিয়া আর স্নায়ুর ক্রিয়ার শিথিলায়নের মাধ্যমে আত্মনিমগ্ন হওয়া অর্থাৎ দেহ আর মনকে নিয়ন্ত্রণ করে অস্থির মনকে স্থির করা ও মনোযোগ একাগ্র করার প্রক্রিয়া।
ধ্যান হলো দেহ আর মনের শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম। এটা এমন এক যোগ ব্যায়াম, দেহ থেকে দেহের কাম এবং মনের থেকে মনের কামকে নিয়ন্ত্রণ করে এক দৃষ্টি ও লক্ষ্যে নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন। ধ্যানের মাধ্যমে একদিকে মনোযোগ, সচেতনতা, নিজের প্রতি ভালোবাসা, সৃজনশীলতা, সুস্থতা ও প্রেম বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে কপটতা, হিংসা, কামুকতা, লোভ, অহংকার ও অসুস্থতা দুর করে মনকে স্বেচ্ছায় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করে এবং প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘটায় অন্তরের মহান জাগরণ।
ধর্মীয় শাস্ত্রে ধ্যান বলতে গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে, মনকে মুক্ত করে কোনো ঐশী শক্তিতে সমর্পিত হওয়া প্রভৃতি, ইসলাম ধর্মের নিজের ভিতর নিজেকে খোজার মাধ্যমে প্রভুর খোজ করা বা আপন পরিচয় সন্ধানের জন্য প্রভুকে সন্ধান করার উত্তম মাধ্যম হলো ধ্যান। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সঃ) নবুয়ত প্রাপ্তির আগে, যখন দুনিয়াতে কুরআন, নামায, ইসলামী শরীয়তের বিধি বিধান আসেনি, তখন তিনি আপন মনে নিজের ভিতরে নিজেকে খোজার মাধ্যমে প্রভুর সন্ধান করার জন্য হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান করতে এবং সেখানেই তিনি আপন প্রভুর ঐশি জ্ঞান লাভ করেন এবং মানবতার কল্যাণের জন্য প্রভুর আদেশ প্রাপ্ত হন। সুতারাং ধ্যান হলো দেহ মনের এমন একটি রেখা, যেখানে স্রষ্টা ও সৃষ্টির মহা মিলন হয়।
মানব ইতিহাসে সুনির্দিষ্টভাবে ধ্যানের উৎপত্তি কবে হয়েছে, তা অজানা থাকলেও প্রত্নতত্ত্ববিদ ও গবেষকগণ একমত যে, ধ্যান প্রায় ৫০০০ বছর আগে উৎপত্তি লাভ করেছিল। ধ্যান চর্চার সবচেয়ে প্রাচীন দলিল পাওয়া যায় প্রায় ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বেদে।টাও ও বুদ্ধের ধ্যান পদ্ধতির বিকাশ ঘটে খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০-৫০০ সালে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০-১০০ সালে পতঞ্জলির যোগসূত্রে প্রণীত হয় যেখানে অষ্টাঙ্গা ধ্যানের বর্ণনা পাওয়া যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ – খ্রিষ্টাব্দ ২০০ সালে ভগবদ গীতায় লিখিত হয়। যেখানে যোগ বা ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক জীবন যাপনের পদ্ধতি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। আবার মুসলমানদের ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআনে নামায কে প্রভুর স্বরণে বান্দার ধ্যান বলা হয়েছে এবং গভীর রাতে প্রভুর জিকির বা স্বরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে এবং নবী মুহাম্মদ (সঃ) নিজে হেরা পাহাড়ের উপর গুহার ভিতরে রাত - দিনে একা একা নির্জনে বসে ধ্যান করতেন। ৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে জাপানে প্রথম ধ্যান হল খোলা হয়। অষ্টাদশ শতকে ধ্যানের প্রাচীন শিক্ষার অনুবাদ পাশ্চাত্যে পৌঁছায়। বিংশ শতকে ধ্যানের বিভিন্ন মেথড উদ্ভাবিত হয়।
নিয়ম পদ্ধতির ভিন্নতা অনুসারে ধ্যানে প্রকারভেদ বিদ্যমান। উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকার হলঃ-
যোগ ধ্যান, অষ্টাঙ্গা ধ্যান, চক্রভেদে ধ্যান, সুফি ধ্যান ও রেচক পূরকে ধ্যান।
ধ্যান হলো পেশিক্রিয়া আর স্নায়ুর ক্রিয়ার শিথিলায়নের মাধ্যমে আত্মনিমগ্ন হওয়া অর্থাৎ দেহ আর মনকে নিয়ন্ত্রণ করে অস্থির মনকে স্থির করা ও মনোযোগ একাগ্র করার প্রক্রিয়া।
ধ্যান হলো দেহ আর মনের শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম। এটা এমন এক যোগ ব্যায়াম, দেহ থেকে দেহের কাম এবং মনের থেকে মনের কামকে নিয়ন্ত্রণ করে এক দৃষ্টি ও লক্ষ্যে নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন। ধ্যানের মাধ্যমে একদিকে মনোযোগ, সচেতনতা, নিজের প্রতি ভালোবাসা, সৃজনশীলতা, সুস্থতা ও প্রেম বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে কপটতা, হিংসা, কামুকতা, লোভ, অহংকার ও অসুস্থতা দুর করে মনকে স্বেচ্ছায় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করে এবং প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘটায় অন্তরের মহান জাগরণ।
ধর্মীয় শাস্ত্রে ধ্যান বলতে গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে, মনকে মুক্ত করে কোনো ঐশী শক্তিতে সমর্পিত হওয়া প্রভৃতি, ইসলাম ধর্মের নিজের ভিতর নিজেকে খোজার মাধ্যমে প্রভুর খোজ করা বা আপন পরিচয় সন্ধানের জন্য প্রভুকে সন্ধান করার উত্তম মাধ্যম হলো ধ্যান। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সঃ) নবুয়ত প্রাপ্তির আগে, যখন দুনিয়াতে কুরআন, নামায, ইসলামী শরীয়তের বিধি বিধান আসেনি, তখন তিনি আপন মনে নিজের ভিতরে নিজেকে খোজার মাধ্যমে প্রভুর সন্ধান করার জন্য হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান করতে এবং সেখানেই তিনি আপন প্রভুর ঐশি জ্ঞান লাভ করেন এবং মানবতার কল্যাণের জন্য প্রভুর আদেশ প্রাপ্ত হন। সুতারাং ধ্যান হলো দেহ মনের এমন একটি রেখা, যেখানে স্রষ্টা ও সৃষ্টির মহা মিলন হয়।
মানব ইতিহাসে সুনির্দিষ্টভাবে ধ্যানের উৎপত্তি কবে হয়েছে, তা অজানা থাকলেও প্রত্নতত্ত্ববিদ ও গবেষকগণ একমত যে, ধ্যান প্রায় ৫০০০ বছর আগে উৎপত্তি লাভ করেছিল। ধ্যান চর্চার সবচেয়ে প্রাচীন দলিল পাওয়া যায় প্রায় ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বেদে।টাও ও বুদ্ধের ধ্যান পদ্ধতির বিকাশ ঘটে খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০-৫০০ সালে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০-১০০ সালে পতঞ্জলির যোগসূত্রে প্রণীত হয় যেখানে অষ্টাঙ্গা ধ্যানের বর্ণনা পাওয়া যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ – খ্রিষ্টাব্দ ২০০ সালে ভগবদ গীতায় লিখিত হয়। যেখানে যোগ বা ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক জীবন যাপনের পদ্ধতি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। আবার মুসলমানদের ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআনে নামায কে প্রভুর স্বরণে বান্দার ধ্যান বলা হয়েছে এবং গভীর রাতে প্রভুর জিকির বা স্বরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে এবং নবী মুহাম্মদ (সঃ) নিজে হেরা পাহাড়ের উপর গুহার ভিতরে রাত - দিনে একা একা নির্জনে বসে ধ্যান করতেন। ৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে জাপানে প্রথম ধ্যান হল খোলা হয়। অষ্টাদশ শতকে ধ্যানের প্রাচীন শিক্ষার অনুবাদ পাশ্চাত্যে পৌঁছায়। বিংশ শতকে ধ্যানের বিভিন্ন মেথড উদ্ভাবিত হয়।
নিয়ম পদ্ধতির ভিন্নতা অনুসারে ধ্যানে প্রকারভেদ বিদ্যমান। উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকার হলঃ-
যোগ ধ্যান, অষ্টাঙ্গা ধ্যান, চক্রভেদে ধ্যান, সুফি ধ্যান ও রেচক পূরকে ধ্যান।
মানুষের আচরণঃ
মানুষ এমন একটি প্রাণী বা জীব, যার মান ও হুশ রয়েছে। আকারে পরিবর্তনশীল প্রতিটি বস্তুর জীবন আছে, তবে সকল জীবনের মান ও হুশ নেই। যাদের মান আর হুশ আছে তাদেরকে সমাজে মানুষ বলে। আজকাল আবার কিছু কিছু মানুষের ভিতরে অমানুষের আত্মা ভরকরে আছে, আকার ও আওয়াজে মানুষের মত হলেও,এরা আসলে মানুষ নয়। এদের চেতনা শক্তি কম, ন্যায় ও অন্যায় এর মাঝে পার্থক্য বুঝেনা। সত্য মিথ্যার ব্যবধান করেনা, নিজেদের পক্ষে হলে হাসে আর বিপক্ষে গেলে গলা উছিয়ে কাশে। অনেকে আবার অতি বুদ্ধির ডেকোর তুলে অতি প্রগতিশীলতা অভিনয় করে। মানুষকে বিচার করে ধর্ম,বর্ণ,জাতির ও নীতির পরিচয়ে। সমাজ ব্যবস্থায় আজকাল এমন মানুষের অবস্থান ব্যাপক উন্নত স্তরে।রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ তলায় এখন মান ও হুশ বিহীন অভিনেতা মানুষের সংখ্যায়ই বেশি। মানুষের মানবিকতা অমানুষের স্তরে চলে এসেছে। নিজের প্রয়োজনে একজন অন্যজনকে দাসের মত ভাবতে লজ্জাবোধ করেনা। পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্র নিয়ে ভাবতে চায়না। জীবনের ধ্যান জ্ঞান নিজেকে নিয়ে, নিজের ভোগ ও সুখ নিয়ে। আত্মসুখ ও মনের শান্তির জন্য জগৎ জ্বালিয়েও এদের ভোগ মিঠেনা। আজকাল মানুষের বাহ্যিক রুপের সাথে শিকারি সিংহ ও হিংস্র হায়নার মানসিকতা যুক্ত হয়ে এক নতুন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। এক কথায় বলতে পারেন, শিকারি পশুরমত হিংস্র মানুষ। কাক কাকের মাংস না খেলেও, মানুষ কিন্তু ঠিকই মানুষের মাংস খায়। এরা কুপিয়ে কুপিয়ে খায়, পিটিয়ে পিটিয়ে খায়, পায়ের তলা দিয়ে পিষ্টে মানুষ মেরে খায়, হাতুরি দিয়ে চেঁচে চেঁচে নিজ বন্ধুর মাংসও খায়। নীতির পার্থক্য বা ধর্মের পার্থক্যের জন্য মানুষ নিজ প্রজাতিকে হত্যা করে খায়। দল বা আদর্শের জন্য একজন অন্যজনকে প্রকাশ্যে হত্যা করে নৃত্য করছে আর ধ্বংস করছে মানবতা ও মানসিকতাকে। আদর্শ, ধর্মীয় তকমা ও প্রগতির চেতনায় মানুষ হত্যা এখন স্বাভাবিক ও আইন সংগত ব্যাপার হয়ে গেছে। কেউ ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের পোড়া মাংস খায়, আবার কেউ ক্ষমতায় আসার জন্য পোড়া মাংসের কাবাব খায়। স্বর্গ পাওয়ার আশায় মানুষ মানুষকে মেরে, মানুষকে কথার আঘাত দিয়ে সুখ পায় আবার কেউ কেউ স্বর্গীয় সুখের অনুভূতি পেতে মানুষের উপর বোমা মারে। জগতের আধুনিক রুপ তৈরি করতে এক মানুষ অন্য মানুষকে দাস বানিয়ে কাজ আদায় করছে। আধুনিক সভ্যতার ইমারত গুলোকে আজ রক্ত মাংসের ইমারত মনে হয়। এক সভ্যতার স্থায়িত্বের জন্য অন্য সভ্যতাকে মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিচ্ছে এ জগতের অসভ্য ও মাংস লোভী হিংস্র মানুষ গুলো। এখন মানুষ হিংস্র জানোয়ার থেকে নিরাপদ হলেও, অতি আধুনিক প্রগতিশীল হিংস্র মানুষ থেকে নিরাপদ নয়। সমস্ত পৃথিবীকে এরা নিজ সুখ ও শান্তির জন্য খোদার নরক বানাচ্ছে। বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে শান্তির নিরাপদ শহরকে। এসব অমানুষদের বিষক্রিয়া এত মারাত্মক যে, আকাশ-বাতাস বিষের আগুনে জ্বলছে। এদের নীতি আদর্শ বা ব্যবস্থার বিরোদ্ধে কথা বললে, আপনাকে শুয়রের পালের মত আক্রমণ করবে। প্রয়োজনে আপনাকে থামাতে গুম,খুন বা হত্যার পথে নামবে। এরা নিজের পথ ও মতের জন্য অন্যের বুকে চুরি চালায়। আজ সমাজ রাষ্ট্র বা বিশ্বে এদের হিংস্রতার জোয়ার বইছে। এদের হাত থেকে আমি, আপনি, আমরা বা আমাদের জীবন নিরাপদ নয়। এদের প্রগতি বা ধর্মীয় উন্মাদনায় ৭১ সালে গণহত্যা, ৭২ ও ৭৩ এর গুপ্ত হত্যা, ৭৫ এর কালো হত্যা, জেলহত্যা, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের হত্যা, বিডিআর হত্যা, জঙ্গিবাহিনী বোমা হামলা, শাপলা চত্তরের হত্যা ও ২৮ অক্টোবরের প্রকাশ্যে মানুষ হত্যাসহ রাজনীতির নামে বিনাবিচারে মানুষ হত্যা আজ সুস্থ সমাজকে অসুস্থ সমাজে পরিনত করেছে। এদের বাহিরের রুপ মানুষের আর ভিতরের রুপ জানোয়ারের।
মানুষ এমন একটি প্রাণী বা জীব, যার মান ও হুশ রয়েছে। আকারে পরিবর্তনশীল প্রতিটি বস্তুর জীবন আছে, তবে সকল জীবনের মান ও হুশ নেই। যাদের মান আর হুশ আছে তাদেরকে সমাজে মানুষ বলে। আজকাল আবার কিছু কিছু মানুষের ভিতরে অমানুষের আত্মা ভরকরে আছে, আকার ও আওয়াজে মানুষের মত হলেও,এরা আসলে মানুষ নয়। এদের চেতনা শক্তি কম, ন্যায় ও অন্যায় এর মাঝে পার্থক্য বুঝেনা। সত্য মিথ্যার ব্যবধান করেনা, নিজেদের পক্ষে হলে হাসে আর বিপক্ষে গেলে গলা উছিয়ে কাশে। অনেকে আবার অতি বুদ্ধির ডেকোর তুলে অতি প্রগতিশীলতা অভিনয় করে। মানুষকে বিচার করে ধর্ম,বর্ণ,জাতির ও নীতির পরিচয়ে। সমাজ ব্যবস্থায় আজকাল এমন মানুষের অবস্থান ব্যাপক উন্নত স্তরে।রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ তলায় এখন মান ও হুশ বিহীন অভিনেতা মানুষের সংখ্যায়ই বেশি। মানুষের মানবিকতা অমানুষের স্তরে চলে এসেছে। নিজের প্রয়োজনে একজন অন্যজনকে দাসের মত ভাবতে লজ্জাবোধ করেনা। পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্র নিয়ে ভাবতে চায়না। জীবনের ধ্যান জ্ঞান নিজেকে নিয়ে, নিজের ভোগ ও সুখ নিয়ে। আত্মসুখ ও মনের শান্তির জন্য জগৎ জ্বালিয়েও এদের ভোগ মিঠেনা। আজকাল মানুষের বাহ্যিক রুপের সাথে শিকারি সিংহ ও হিংস্র হায়নার মানসিকতা যুক্ত হয়ে এক নতুন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। এক কথায় বলতে পারেন, শিকারি পশুরমত হিংস্র মানুষ। কাক কাকের মাংস না খেলেও, মানুষ কিন্তু ঠিকই মানুষের মাংস খায়। এরা কুপিয়ে কুপিয়ে খায়, পিটিয়ে পিটিয়ে খায়, পায়ের তলা দিয়ে পিষ্টে মানুষ মেরে খায়, হাতুরি দিয়ে চেঁচে চেঁচে নিজ বন্ধুর মাংসও খায়। নীতির পার্থক্য বা ধর্মের পার্থক্যের জন্য মানুষ নিজ প্রজাতিকে হত্যা করে খায়। দল বা আদর্শের জন্য একজন অন্যজনকে প্রকাশ্যে হত্যা করে নৃত্য করছে আর ধ্বংস করছে মানবতা ও মানসিকতাকে। আদর্শ, ধর্মীয় তকমা ও প্রগতির চেতনায় মানুষ হত্যা এখন স্বাভাবিক ও আইন সংগত ব্যাপার হয়ে গেছে। কেউ ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের পোড়া মাংস খায়, আবার কেউ ক্ষমতায় আসার জন্য পোড়া মাংসের কাবাব খায়। স্বর্গ পাওয়ার আশায় মানুষ মানুষকে মেরে, মানুষকে কথার আঘাত দিয়ে সুখ পায় আবার কেউ কেউ স্বর্গীয় সুখের অনুভূতি পেতে মানুষের উপর বোমা মারে। জগতের আধুনিক রুপ তৈরি করতে এক মানুষ অন্য মানুষকে দাস বানিয়ে কাজ আদায় করছে। আধুনিক সভ্যতার ইমারত গুলোকে আজ রক্ত মাংসের ইমারত মনে হয়। এক সভ্যতার স্থায়িত্বের জন্য অন্য সভ্যতাকে মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিচ্ছে এ জগতের অসভ্য ও মাংস লোভী হিংস্র মানুষ গুলো। এখন মানুষ হিংস্র জানোয়ার থেকে নিরাপদ হলেও, অতি আধুনিক প্রগতিশীল হিংস্র মানুষ থেকে নিরাপদ নয়। সমস্ত পৃথিবীকে এরা নিজ সুখ ও শান্তির জন্য খোদার নরক বানাচ্ছে। বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে শান্তির নিরাপদ শহরকে। এসব অমানুষদের বিষক্রিয়া এত মারাত্মক যে, আকাশ-বাতাস বিষের আগুনে জ্বলছে। এদের নীতি আদর্শ বা ব্যবস্থার বিরোদ্ধে কথা বললে, আপনাকে শুয়রের পালের মত আক্রমণ করবে। প্রয়োজনে আপনাকে থামাতে গুম,খুন বা হত্যার পথে নামবে। এরা নিজের পথ ও মতের জন্য অন্যের বুকে চুরি চালায়। আজ সমাজ রাষ্ট্র বা বিশ্বে এদের হিংস্রতার জোয়ার বইছে। এদের হাত থেকে আমি, আপনি, আমরা বা আমাদের জীবন নিরাপদ নয়। এদের প্রগতি বা ধর্মীয় উন্মাদনায় ৭১ সালে গণহত্যা, ৭২ ও ৭৩ এর গুপ্ত হত্যা, ৭৫ এর কালো হত্যা, জেলহত্যা, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের হত্যা, বিডিআর হত্যা, জঙ্গিবাহিনী বোমা হামলা, শাপলা চত্তরের হত্যা ও ২৮ অক্টোবরের প্রকাশ্যে মানুষ হত্যাসহ রাজনীতির নামে বিনাবিচারে মানুষ হত্যা আজ সুস্থ সমাজকে অসুস্থ সমাজে পরিনত করেছে। এদের বাহিরের রুপ মানুষের আর ভিতরের রুপ জানোয়ারের।
ধর্ম চিন্তাঃ
মানুষের বিশ্বাস, মানুষ নিজের উপর যেই নিয়ম বা বিধান নিজে নিজে আরোপ করে, অর্থাৎ অন্যের বল প্রয়োগ বা প্ররোচনায় প্ররোচিত না হয়ে স্বেচ্ছায় নিজে উপর নিজে যে লিখিত বা অলিখিত নীতিমালা কায়েম করে তাকে ধর্ম বলে। কোন ব্যক্তি যখন নিজের উপর ইসলামের বিধানে স্বেচ্ছায় কায়েম করে, তখন সে একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয় এবং তার ধর্মীয় পরিচয় হয় মুসলিম। আবার কেউ যদি হিন্দু মত মেনে নেয়, তখন সে একজন হিন্দু ধর্মীয় অনুসারী হয়। অর্থাৎ এই মেনে নেওয়াটা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় হতে হবে। আজকের পৃথিবীতে এভাবেই ইসলাম, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, ঈসায়ীসহ শত শত মতবাদ বা বিশ্বাস মানুষ পালন করে। আবার একদল বিশ্বাসী আছে, যারা কোন নিয়ম বা বিধান কে মেনে চলতে চায়না। এরা হলো অবিশ্বাসী মতবাদে বিশ্বাসী, এটাকেও আপনি একটা বিধান বা ধর্ম বলতে পারেন। যারা কোন নিদিষ্ট নিয়মে বিশ্বাসী নয়।
অতএব
তাহলে আমরা বলতে পারি-
ধর্ম হলো মানুষের স্বেচ্ছায় নিয়মের বিধানে বন্দি এমন এক জীবন ব্যবস্থা, যেখানে প্রত্যেক মানুষ নিজেকে অন্য শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে দেয়। আর যারা আত্মসমর্পণ করেনা, তারা হলো অবিশ্বাসী ধর্মীয় বিধানে বিশ্বাসী। যেহেতু প্রত্যেক মানুষ কোন না কোন একটি নিয়ম বা বিধানে বিশ্বাসী, তাই সকল মানুষ আস্তিক ধর্মীয় মতে বিশ্বাসী , মানুষ নাস্তিক হতে পারেনা। তবে কেউ ইসলামে আস্তিক, কেউ হিন্দুতে আস্তিক আবার কেউ বৌদ্ধ বা ঈসায়ী বা জৈনতে আস্তিক। কেউ স্রষ্টায় আস্তিক অথবা কেউ স্রষ্টায়হীনতায় আস্তিক।
মানুষ আত্মশুদ্ধি ও আত্মমুক্তির জন্য দুনিয়ার জীবনে যে পথ অনুসরণ করে চলে তাকে ধর্ম বলে। যে যেপথে বিশ্বাস করে, সে সেই ধর্ম পথের বিশ্বাসী বা অনুসারী। মানুষ ধর্মমত বা পথ পালন করার একমাত্র কারণ হলো আত্মশুদ্ধি বা আত্মমুক্তি। ধর্ম কখনও অসৎপথ বা মতে মানুষকে পরিচালিত করেনা। সকল ধর্মের মানুষ চায় মুক্তি,শান্তি ও শৃংখলা। ধর্ম চিন্তায় মানুষ হলো সত্যের অনুসন্ধানী ও সত্য প্রাপ্তি পথিক মাত্র। এখানে হিংসা, হানাহানি, হত্যা ও জোর জুলুমের স্থান নেই। ধর্ম কখনও মানুষকে অমাননবিক আচরণ শিক্ষা দেয়না। ধর্মের শিক্ষা হলো মানবতা, শান্তি, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, সহাবস্থান, জীবে প্রেম, অহিংসা আর সৃষ্টির সেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্যের সন্ধান করা
মানুষের বিশ্বাস, মানুষ নিজের উপর যেই নিয়ম বা বিধান নিজে নিজে আরোপ করে, অর্থাৎ অন্যের বল প্রয়োগ বা প্ররোচনায় প্ররোচিত না হয়ে স্বেচ্ছায় নিজে উপর নিজে যে লিখিত বা অলিখিত নীতিমালা কায়েম করে তাকে ধর্ম বলে। কোন ব্যক্তি যখন নিজের উপর ইসলামের বিধানে স্বেচ্ছায় কায়েম করে, তখন সে একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয় এবং তার ধর্মীয় পরিচয় হয় মুসলিম। আবার কেউ যদি হিন্দু মত মেনে নেয়, তখন সে একজন হিন্দু ধর্মীয় অনুসারী হয়। অর্থাৎ এই মেনে নেওয়াটা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় হতে হবে। আজকের পৃথিবীতে এভাবেই ইসলাম, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, ঈসায়ীসহ শত শত মতবাদ বা বিশ্বাস মানুষ পালন করে। আবার একদল বিশ্বাসী আছে, যারা কোন নিয়ম বা বিধান কে মেনে চলতে চায়না। এরা হলো অবিশ্বাসী মতবাদে বিশ্বাসী, এটাকেও আপনি একটা বিধান বা ধর্ম বলতে পারেন। যারা কোন নিদিষ্ট নিয়মে বিশ্বাসী নয়।
অতএব
তাহলে আমরা বলতে পারি-
ধর্ম হলো মানুষের স্বেচ্ছায় নিয়মের বিধানে বন্দি এমন এক জীবন ব্যবস্থা, যেখানে প্রত্যেক মানুষ নিজেকে অন্য শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে দেয়। আর যারা আত্মসমর্পণ করেনা, তারা হলো অবিশ্বাসী ধর্মীয় বিধানে বিশ্বাসী। যেহেতু প্রত্যেক মানুষ কোন না কোন একটি নিয়ম বা বিধানে বিশ্বাসী, তাই সকল মানুষ আস্তিক ধর্মীয় মতে বিশ্বাসী , মানুষ নাস্তিক হতে পারেনা। তবে কেউ ইসলামে আস্তিক, কেউ হিন্দুতে আস্তিক আবার কেউ বৌদ্ধ বা ঈসায়ী বা জৈনতে আস্তিক। কেউ স্রষ্টায় আস্তিক অথবা কেউ স্রষ্টায়হীনতায় আস্তিক।
মানুষ আত্মশুদ্ধি ও আত্মমুক্তির জন্য দুনিয়ার জীবনে যে পথ অনুসরণ করে চলে তাকে ধর্ম বলে। যে যেপথে বিশ্বাস করে, সে সেই ধর্ম পথের বিশ্বাসী বা অনুসারী। মানুষ ধর্মমত বা পথ পালন করার একমাত্র কারণ হলো আত্মশুদ্ধি বা আত্মমুক্তি। ধর্ম কখনও অসৎপথ বা মতে মানুষকে পরিচালিত করেনা। সকল ধর্মের মানুষ চায় মুক্তি,শান্তি ও শৃংখলা। ধর্ম চিন্তায় মানুষ হলো সত্যের অনুসন্ধানী ও সত্য প্রাপ্তি পথিক মাত্র। এখানে হিংসা, হানাহানি, হত্যা ও জোর জুলুমের স্থান নেই। ধর্ম কখনও মানুষকে অমাননবিক আচরণ শিক্ষা দেয়না। ধর্মের শিক্ষা হলো মানবতা, শান্তি, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, সহাবস্থান, জীবে প্রেম, অহিংসা আর সৃষ্টির সেবার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্যের সন্ধান করা
ধর্ম ও মানুষঃ
যখন প্রথম বাংলা ব্যাকরণ শিখা শুরু করলাম স্যার বললেন, মানুষ জন্ম বা সৃষ্টির পর থেকে ভাষা এসেছে। ভাষা হলো মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম, আর ভাষাকে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম হলো বর্ণমালার লিখিত রুপ। ভাষার হাজার বছর পরে বর্ণমালা এবং তারও হাজার হাজার বছর পর ভাষাবিদেরা ভাষারীতি বা নীতিমালা প্রণয়ন করেন, যেটাকে আমরা ব্যাকরণ বলি। সুতারাং ভাষার জন্য বা ভাষার সহায়ক হলো ব্যাকরণ, ব্যাকরণের জন্য বা সহায়ক ভাষা নয়। বর্তমানে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাকরণকে এমন বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে যে, ব্যাকরণ না জানলে ভাষা শিখা যায়না।
এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। তবে হা, ভাষা লিখিত রুপ প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যাকরণ কিছুটা সহায়ক হিসেবে কাজ করে বলতে পারেন। আমরা আমাদের শিশু সন্তানদের ভাষার লিখিত রুপ শিখানো ক্ষেত্রে কি প্রথমে ব্যাকরণ শিখাই ? উত্তর না। আবার প্রবাসীরা যখন আরব বা ইউরোপে ভাষা শিখে তখন কি ব্যাকরণ শিখে ? উত্তর না।
তাহলে আমরা বলতে পারি, ভাষার রুপগত আকারকে সুন্দর করার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ সহযোগী ভুমিকা পালন করে মাত্র। পৃথিবীতে এমন শতশত ভাষা আছে, যেটা ব্যাকরণ তো অনেক দূর, রুপগত আকার বা বর্ণমালা ও নেই। তাহলে আমরা বলতে পারি ভাষার প্রকাশ হলো মৌলিক ও প্রধান বিষয়। আর ব্যাকরণ হলো সহায়ক বিষয় মাত্র। অথচ মানুষ আসলটাকে বাদ দিয়ে নকলটা নিয়ে টানাটানি ও পারাপারি করে মহা ব্যস্ত।
আজকের পৃথিবীতে প্রায় সাতশত কোটির একটু বেশি মানুষ বসবাস করে। যার অর্ধেরও বেশি নারী আর বাকিটা পুরুষ। এই পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টির করে পাঠানোর আগে জ্বীন জাতিকে পাঠিয়েছেন। মানুষ পৃথিবীতে আসার আগেও এখানে জ্বীনেরা ছিল। পৃথিবীতে মানুষ ও জ্বিন ছাড়া সব কিছুই মানুষের কল্যাণে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবী কে আল্লাহ মানুষের বসবাসের জন্য এত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। কোন বিশেষ শ্রেনী বা গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় বা আল্লায় বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী এমন কারো জন্য সৃষ্টি করেননি। কুরআনে বলা হয়েছে, মানুষের কল্যাণের জন্য পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। আর ইসলাম হলো আল্লাহর মনোনীত ধর্ম মত বা পথ। ইসলাম ধর্মমত বা পথকে আল্লাহ মানব জাতির জন্য পছন্দ করে দিয়েছেন। তবে মানুষকে দুনিয়াতে মত বা পথ গ্রহণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন - আমি আল্লাহ যদি চাইতাম, সকল মানুষকে মুসলিম ও ইসলামকে দুনিয়াতে স্থায়ীভাবে কায়েম করতে পারতাম। এটা আমি করিনি কারণ আমি দেখতে চাই, তোমাদের মাঝে কারা আমাকে বিশ্বাস করে ও আমার দেওয়া বিধান মেনে চলে। তাহলে আমরা বলতে পারি, পৃথিবীর মৌলিক উপাদান হলো মানুষ, সকল মানুষ, এখানে কোন শ্রেনী বা বিশেষ গোষ্ঠির জন্য আল্লাহ পৃথিবী বা অন্য সব কিছু সৃষ্টি বা ইসলাম কে মনোনীত করেননি। মানুষ হলো মৌলিক উপাদান, আর অন্য সব প্রাণী বা জীবজন্তু বা ধর্ম মত বা পথ বা ইসলাম বা সব সৃষ্টি করেছে শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণে বা প্রয়োজনে। অথচ আজ মানুষকে গৌণ বিষয় আর ধর্মমত বা পথকে মৌলিক বিষয় বানিয়ে মানুষ মানুষকে হত্যা করছে। যে মানুষের কল্যাণের জন্য আল্লাহ পৃথিবীকে সৃষ্টি করলো, ইসলাম ধর্মকে পাঠিয়েছে, এই মানুষ আজ ধর্মের নামে, পৃথিবী শাসনের নামে, পৃথিবীর ক্ষমতার জন্য, আরেক মানুষকে হত্যা করছে, মানুষ মানুষের উপর জুলুম করছে, নির্যাতন করছে, নিজ ধর্মমত অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। মহান আল্লাহ তায়ালা, যিনি সকল জাহানের একমাত্র মালিক ও সৃষ্টিকারী। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠালেন এবং যিনি মানুষকে দুনিয়াতে পরীক্ষা করার জন্য স্বাধীন করে দিলেন তার সৃষ্টি মানুষকে আজ মানুষই ক্ষমতার জন্য, ধর্মের নামে, ইসলামের নামে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ধর্মমত বা পথ চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, এটা বিশ্বাস ও স্বেচ্ছায় মানা এবং পালন করার বিষয়। দুনিয়ার জীবনে আমরা যখন স্কুল বা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় বা চাকুরীর জন্য পরীক্ষা দিই, তখন কি আমরা একজন আরেকজনকে লিখে দিই, বা আমরা কি অন্যের কেমন পরীক্ষা হচ্ছে, সেটা বিষয় নিয়ে ভাবি ? নাকি নিজের পরীক্ষা নিয়ে ভাবি?
অবশ্যই নিজে পরীক্ষা দেই এবং নিজেকে নিয়ে ভাবি। কারণ আমার কর্মফল আমাকে ভোগ করতে হবে। প্রশ্ন নিদিষ্ট আর উত্তর লেখার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ স্বাধীন। আর ফলাফলে প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী পরীক্ষার পর ঘোষণা করা হবে।
দুনিয়াটা মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, এখানে প্রত্যেক মানুষ পরীক্ষার্থী আর আল্লাহ সবাইকে উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন ক্ষমতা দিয়েছে। আমরা মানুষ হয়ে কাউকে বাধ্য করতে পারিনা। তবে মানুষের কল্যাণময়ী হয়ে সঠিক পথে ডাকতে পারি। এর বেশি কিছু করার ক্ষমতা আল্লাহ কোন নবী বা রাসূলকে ও দেননি। পৃথিবী হলো পরীক্ষার হল, এখানে সবাই সমান সুযোগ পাবে এবং সময়ও সবার জন্য নিদিষ্ট। এখানে মানুষের নতুন নতুন ভাবনা আছে, চিন্তা আছে, মত বা পথ প্রকাশের ভিন্নতা থাকতে পারে। সবাই পাশ করবেনা, আবার সবাই ফেলও করবেনা বা সমান নাম্বারও পাবেনা। এখানের পরিবেশে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মতপার্থক্য মানুষের জন্মগত, আইনগত এবং মুক্তচিন্তা আর স্বাধীন মানসিকতার উর্বর ফসল। যারা মনে করে পৃথিবীর সকল মানুষ একই চিন্তা আর বিশ্বাসের আলোকে চলবে বা পরিচালিত হবে, তাদের চিন্তার গোড়াতে গলদ আছে বলে আমি মনে করি। যারা স্রষ্টাতে বিশ্বাস করে বা ইসলাম ধর্মের অনুসারী, তারা এমনটা কোন ভাবেই বিশ্বাস করার কারন থাকতে পারেনা। আল্লাহ দুনিয়াতে মানুষকে চিন্তা, বিশ্বাস আর মতামত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার পাশাপাশি, নিজের জীবন নিজের মত করে পরিচালিত করারও স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি আল্লাহ যদি চাইতেন, তাহলে সবাইকে ইসলামের অনুসারী এবং পৃথিবীতে ইসলামকে একমাত্র পথ ও মত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহ তা করেননি, তিনি দুনিয়াতে মানুষকে মত ও পথ গ্রহণে স্বাধীনতা দিয়েছে। কাউকে জোর করে বা বাধ্য করে মতামত বা পথ চাপিয়ে দেননি। ধর্ম বা বিশ্বাস মানুষ পৃথিবীতে আসার আগেও ছিল, এখনও আছে। পৃথিবী পূর্ণ আয়ুতে থাকবে। যতদিন থাকবে, ততদিন মতপার্থক্য ও থাকবে।
মতপার্থক্যের জন্য মানুষ মানুষকে হত্যা করা বা জুলুম করা মানুষের মানবিক গুণ হতে পারেনা। মানুষ সৃষ্টির সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও সম্মানি প্রাণী । যারা অন্য সকল প্রাণীর নিয়ন্ত্রক ও পরিচালকের আসনে রয়েছে। মানুষ নিজেকে মহান বা উত্তম দাবি করেন এই যুক্তিতে যে , মানুষ হলো মানবিক ও সহনশীল আচরণকারী অতি বুদ্ধিমান যুক্তিশীল প্রাণী। মতপার্থক্য বা পথের পার্থক্যের কারণে মানুষের আচরণ অমানুষের মত হতে পারেনা। স্রষ্টা তার সৃষ্টিকে দুনিয়াতে মত ও পথে স্বাধীনতা দিয়েছে, আর সৃষ্টি চায় সৃষ্টিকে দুনিয়াতে নিয়ন্ত্রক হয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে। এটা কেমন কথা ? মতের প্রচার আপনি করতে পারেন, মানুষকে প্রেম, দয়ার আর আপনার ধর্ম মতের পথে ডাকতে পারেন, আপনার চিন্তার কথাও বলতে পারেন। কিন্তু কাউকে মানতে বা পালন করতে বাধ্য করতে পারেননা, আপনি বাধ্য করার কে?
যে আল্লাহ বাধ্য করার ক্ষমতা রাখেন, তিনিতো বললেন- আমি দুনিয়াতে কাউকে চিন্তা ও পথ গ্রহণে বাধ্য করিনা, এটা দুনিয়া আমি স্রষ্টার উদারতা আর সৃষ্টির পরীক্ষার জায়গা। মানুষ হয়ে স্রষ্টার আইন লঙ্গন করে নিজে স্রষ্টার সৃষ্টিকে হত্যা করা মহা অন্যায় ও অনিয়ম। কর্ম আর কর্মী পৃথিবীতে আপন অধিকার এমন ভাবে ভোগ করবে, যেন অন্যের অধিকারে কোন ধরনের অসুবিধা না হয়। সমস্ত পৃথিবীর মানুষ মুক্ত মনের মিছিলে স্বাধীন আর আনন্দের সাথে যুক্ত হয়ে শান্তির পথে চলতে হবে। মায়ের বুকে শিশুর নিরাপদ আশ্রয়ের মত করে পৃথিবীকে শান্তি আর সুন্দর নিরাপদ শহর বানাতে হবে। প্রেম, দয়া, সহানুভূতি, সহনশীলতা ও সহমর্মিতা হবে মানুষের পরম ধর্ম। মানবিকতা আর জীবে ভালোবাসা সবার আগে। অহিংসা মন্ত্রে অহংকার কে জ্বলতে দিতে হবে। মানুষের মিছিলে শ্লোগান হবে- "মুক্তচিন্তায় শান্তির পথ"। এখানে শান্তির জীবন প্রতিষ্ঠা করা সকল ধর্মের বা সকল মত পথের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন। এখানে সকল মানুষ রক্ত মাংসে গড়া আল্লাহর সৃষ্টি। সকল সৃষ্টির বেচে থাকা আর জীবনকে ভোগ করার অধিকার রয়েছে।
যখন প্রথম বাংলা ব্যাকরণ শিখা শুরু করলাম স্যার বললেন, মানুষ জন্ম বা সৃষ্টির পর থেকে ভাষা এসেছে। ভাষা হলো মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম, আর ভাষাকে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম হলো বর্ণমালার লিখিত রুপ। ভাষার হাজার বছর পরে বর্ণমালা এবং তারও হাজার হাজার বছর পর ভাষাবিদেরা ভাষারীতি বা নীতিমালা প্রণয়ন করেন, যেটাকে আমরা ব্যাকরণ বলি। সুতারাং ভাষার জন্য বা ভাষার সহায়ক হলো ব্যাকরণ, ব্যাকরণের জন্য বা সহায়ক ভাষা নয়। বর্তমানে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাকরণকে এমন বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে যে, ব্যাকরণ না জানলে ভাষা শিখা যায়না।
এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। তবে হা, ভাষা লিখিত রুপ প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যাকরণ কিছুটা সহায়ক হিসেবে কাজ করে বলতে পারেন। আমরা আমাদের শিশু সন্তানদের ভাষার লিখিত রুপ শিখানো ক্ষেত্রে কি প্রথমে ব্যাকরণ শিখাই ? উত্তর না। আবার প্রবাসীরা যখন আরব বা ইউরোপে ভাষা শিখে তখন কি ব্যাকরণ শিখে ? উত্তর না।
তাহলে আমরা বলতে পারি, ভাষার রুপগত আকারকে সুন্দর করার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ সহযোগী ভুমিকা পালন করে মাত্র। পৃথিবীতে এমন শতশত ভাষা আছে, যেটা ব্যাকরণ তো অনেক দূর, রুপগত আকার বা বর্ণমালা ও নেই। তাহলে আমরা বলতে পারি ভাষার প্রকাশ হলো মৌলিক ও প্রধান বিষয়। আর ব্যাকরণ হলো সহায়ক বিষয় মাত্র। অথচ মানুষ আসলটাকে বাদ দিয়ে নকলটা নিয়ে টানাটানি ও পারাপারি করে মহা ব্যস্ত।
আজকের পৃথিবীতে প্রায় সাতশত কোটির একটু বেশি মানুষ বসবাস করে। যার অর্ধেরও বেশি নারী আর বাকিটা পুরুষ। এই পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টির করে পাঠানোর আগে জ্বীন জাতিকে পাঠিয়েছেন। মানুষ পৃথিবীতে আসার আগেও এখানে জ্বীনেরা ছিল। পৃথিবীতে মানুষ ও জ্বিন ছাড়া সব কিছুই মানুষের কল্যাণে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবী কে আল্লাহ মানুষের বসবাসের জন্য এত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। কোন বিশেষ শ্রেনী বা গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় বা আল্লায় বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী এমন কারো জন্য সৃষ্টি করেননি। কুরআনে বলা হয়েছে, মানুষের কল্যাণের জন্য পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। আর ইসলাম হলো আল্লাহর মনোনীত ধর্ম মত বা পথ। ইসলাম ধর্মমত বা পথকে আল্লাহ মানব জাতির জন্য পছন্দ করে দিয়েছেন। তবে মানুষকে দুনিয়াতে মত বা পথ গ্রহণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন - আমি আল্লাহ যদি চাইতাম, সকল মানুষকে মুসলিম ও ইসলামকে দুনিয়াতে স্থায়ীভাবে কায়েম করতে পারতাম। এটা আমি করিনি কারণ আমি দেখতে চাই, তোমাদের মাঝে কারা আমাকে বিশ্বাস করে ও আমার দেওয়া বিধান মেনে চলে। তাহলে আমরা বলতে পারি, পৃথিবীর মৌলিক উপাদান হলো মানুষ, সকল মানুষ, এখানে কোন শ্রেনী বা বিশেষ গোষ্ঠির জন্য আল্লাহ পৃথিবী বা অন্য সব কিছু সৃষ্টি বা ইসলাম কে মনোনীত করেননি। মানুষ হলো মৌলিক উপাদান, আর অন্য সব প্রাণী বা জীবজন্তু বা ধর্ম মত বা পথ বা ইসলাম বা সব সৃষ্টি করেছে শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণে বা প্রয়োজনে। অথচ আজ মানুষকে গৌণ বিষয় আর ধর্মমত বা পথকে মৌলিক বিষয় বানিয়ে মানুষ মানুষকে হত্যা করছে। যে মানুষের কল্যাণের জন্য আল্লাহ পৃথিবীকে সৃষ্টি করলো, ইসলাম ধর্মকে পাঠিয়েছে, এই মানুষ আজ ধর্মের নামে, পৃথিবী শাসনের নামে, পৃথিবীর ক্ষমতার জন্য, আরেক মানুষকে হত্যা করছে, মানুষ মানুষের উপর জুলুম করছে, নির্যাতন করছে, নিজ ধর্মমত অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। মহান আল্লাহ তায়ালা, যিনি সকল জাহানের একমাত্র মালিক ও সৃষ্টিকারী। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠালেন এবং যিনি মানুষকে দুনিয়াতে পরীক্ষা করার জন্য স্বাধীন করে দিলেন তার সৃষ্টি মানুষকে আজ মানুষই ক্ষমতার জন্য, ধর্মের নামে, ইসলামের নামে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ধর্মমত বা পথ চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, এটা বিশ্বাস ও স্বেচ্ছায় মানা এবং পালন করার বিষয়। দুনিয়ার জীবনে আমরা যখন স্কুল বা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় বা চাকুরীর জন্য পরীক্ষা দিই, তখন কি আমরা একজন আরেকজনকে লিখে দিই, বা আমরা কি অন্যের কেমন পরীক্ষা হচ্ছে, সেটা বিষয় নিয়ে ভাবি ? নাকি নিজের পরীক্ষা নিয়ে ভাবি?
অবশ্যই নিজে পরীক্ষা দেই এবং নিজেকে নিয়ে ভাবি। কারণ আমার কর্মফল আমাকে ভোগ করতে হবে। প্রশ্ন নিদিষ্ট আর উত্তর লেখার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ স্বাধীন। আর ফলাফলে প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী পরীক্ষার পর ঘোষণা করা হবে।
দুনিয়াটা মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, এখানে প্রত্যেক মানুষ পরীক্ষার্থী আর আল্লাহ সবাইকে উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন ক্ষমতা দিয়েছে। আমরা মানুষ হয়ে কাউকে বাধ্য করতে পারিনা। তবে মানুষের কল্যাণময়ী হয়ে সঠিক পথে ডাকতে পারি। এর বেশি কিছু করার ক্ষমতা আল্লাহ কোন নবী বা রাসূলকে ও দেননি। পৃথিবী হলো পরীক্ষার হল, এখানে সবাই সমান সুযোগ পাবে এবং সময়ও সবার জন্য নিদিষ্ট। এখানে মানুষের নতুন নতুন ভাবনা আছে, চিন্তা আছে, মত বা পথ প্রকাশের ভিন্নতা থাকতে পারে। সবাই পাশ করবেনা, আবার সবাই ফেলও করবেনা বা সমান নাম্বারও পাবেনা। এখানের পরিবেশে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মতপার্থক্য মানুষের জন্মগত, আইনগত এবং মুক্তচিন্তা আর স্বাধীন মানসিকতার উর্বর ফসল। যারা মনে করে পৃথিবীর সকল মানুষ একই চিন্তা আর বিশ্বাসের আলোকে চলবে বা পরিচালিত হবে, তাদের চিন্তার গোড়াতে গলদ আছে বলে আমি মনে করি। যারা স্রষ্টাতে বিশ্বাস করে বা ইসলাম ধর্মের অনুসারী, তারা এমনটা কোন ভাবেই বিশ্বাস করার কারন থাকতে পারেনা। আল্লাহ দুনিয়াতে মানুষকে চিন্তা, বিশ্বাস আর মতামত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার পাশাপাশি, নিজের জীবন নিজের মত করে পরিচালিত করারও স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি আল্লাহ যদি চাইতেন, তাহলে সবাইকে ইসলামের অনুসারী এবং পৃথিবীতে ইসলামকে একমাত্র পথ ও মত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহ তা করেননি, তিনি দুনিয়াতে মানুষকে মত ও পথ গ্রহণে স্বাধীনতা দিয়েছে। কাউকে জোর করে বা বাধ্য করে মতামত বা পথ চাপিয়ে দেননি। ধর্ম বা বিশ্বাস মানুষ পৃথিবীতে আসার আগেও ছিল, এখনও আছে। পৃথিবী পূর্ণ আয়ুতে থাকবে। যতদিন থাকবে, ততদিন মতপার্থক্য ও থাকবে।
মতপার্থক্যের জন্য মানুষ মানুষকে হত্যা করা বা জুলুম করা মানুষের মানবিক গুণ হতে পারেনা। মানুষ সৃষ্টির সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও সম্মানি প্রাণী । যারা অন্য সকল প্রাণীর নিয়ন্ত্রক ও পরিচালকের আসনে রয়েছে। মানুষ নিজেকে মহান বা উত্তম দাবি করেন এই যুক্তিতে যে , মানুষ হলো মানবিক ও সহনশীল আচরণকারী অতি বুদ্ধিমান যুক্তিশীল প্রাণী। মতপার্থক্য বা পথের পার্থক্যের কারণে মানুষের আচরণ অমানুষের মত হতে পারেনা। স্রষ্টা তার সৃষ্টিকে দুনিয়াতে মত ও পথে স্বাধীনতা দিয়েছে, আর সৃষ্টি চায় সৃষ্টিকে দুনিয়াতে নিয়ন্ত্রক হয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে। এটা কেমন কথা ? মতের প্রচার আপনি করতে পারেন, মানুষকে প্রেম, দয়ার আর আপনার ধর্ম মতের পথে ডাকতে পারেন, আপনার চিন্তার কথাও বলতে পারেন। কিন্তু কাউকে মানতে বা পালন করতে বাধ্য করতে পারেননা, আপনি বাধ্য করার কে?
যে আল্লাহ বাধ্য করার ক্ষমতা রাখেন, তিনিতো বললেন- আমি দুনিয়াতে কাউকে চিন্তা ও পথ গ্রহণে বাধ্য করিনা, এটা দুনিয়া আমি স্রষ্টার উদারতা আর সৃষ্টির পরীক্ষার জায়গা। মানুষ হয়ে স্রষ্টার আইন লঙ্গন করে নিজে স্রষ্টার সৃষ্টিকে হত্যা করা মহা অন্যায় ও অনিয়ম। কর্ম আর কর্মী পৃথিবীতে আপন অধিকার এমন ভাবে ভোগ করবে, যেন অন্যের অধিকারে কোন ধরনের অসুবিধা না হয়। সমস্ত পৃথিবীর মানুষ মুক্ত মনের মিছিলে স্বাধীন আর আনন্দের সাথে যুক্ত হয়ে শান্তির পথে চলতে হবে। মায়ের বুকে শিশুর নিরাপদ আশ্রয়ের মত করে পৃথিবীকে শান্তি আর সুন্দর নিরাপদ শহর বানাতে হবে। প্রেম, দয়া, সহানুভূতি, সহনশীলতা ও সহমর্মিতা হবে মানুষের পরম ধর্ম। মানবিকতা আর জীবে ভালোবাসা সবার আগে। অহিংসা মন্ত্রে অহংকার কে জ্বলতে দিতে হবে। মানুষের মিছিলে শ্লোগান হবে- "মুক্তচিন্তায় শান্তির পথ"। এখানে শান্তির জীবন প্রতিষ্ঠা করা সকল ধর্মের বা সকল মত পথের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন। এখানে সকল মানুষ রক্ত মাংসে গড়া আল্লাহর সৃষ্টি। সকল সৃষ্টির বেচে থাকা আর জীবনকে ভোগ করার অধিকার রয়েছে।
ইসলাম, মুসলিম ও রিসালাতের শেষ নবীঃ
মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) আল্লাহর বান্দা, তাঁর পিতা মোত্তালিব পুত্র আব্দুল্লাহ এবং মাতা আমেনা খাতুন। তিনি জ্বিন বা ফেরেস্তা নয়, তিনি একজন মানুষ। দুনিয়াতে তাঁর আগমন হয়েছে মানুষের সন্তান হিসেবে। মহান আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মাদ মোস্তফা বা আহমদ মোস্তফা কে দুনিয়াতে আখেরী নবীর হিসেবে মনোনীত করেছেন। তাঁর মর্যাদা সকল নবীদের উপরে। তিনি সকল সৃষ্টির মাঝে উচ্চ সম্মানের আসনে। মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) একজন মানুষ, তিনি আল্লাহর নবী, তাঁর মর্যাদা সকল সৃষ্টির উপরে, তিনি আখেরি নবী, তাঁর জন্ম দুনিয়াতে মানুষ হিসেবে হয়েছে, তিনি মানুষের মত করে দুনিয়ার জীবন ত্যাগ করে চলে গেছেন বা মৃত্যু বরণ করেছেন। তাঁর আনিত রিসালাত দুনিয়ার জন্য কল্যাণ ও আখেরাতের আল্লাহর আজাব থেকে মুক্তির একমাত্র মাধ্যম।
এই বিশ্বাস গুলো একজন মুমিনের জন্য ঈমানের শর্ত।
আর কুরআন হলো নবী মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) এর উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হওয়া পবিত্র কিতাব বা গ্রন্থ। এর বাণী গুলো মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে সকল সৃষ্টির জগতের জন্য আইন হিসেবে পাঠিয়েছেন। কুরআনের আদেশ ও নিষেধ মানা সকল সৃষ্টির জন্য আইন বা ফরজ।
দুনিয়াতে মানুষের জন্য নির্ভুল ও কল্যাণকর একমাত্র গ্রন্থ হলো "কুরআন"। নির্ভুল মানুষ নবী মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) এবং নির্ভুল পথ বা জীবন ব্যবস্থা ইসলাম। যারা উল্লেখ্য বিষয় গুলোর উপর বিশ্বাস করবে ও দুনিয়ার জীবনে মেনে চলবে তাঁরাই মুমিন মুসলিম বা ঈমানদার মুসলিম। আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য মনোনীত পথ হলো ইসলাম আর ইসলামের বিধান পালন কারীর একমাত্র পরিচয় হলো মুসলিম এবং মুসলিম। দুনিয়ার জীবন শেষে মৃত্যুর পর আল্লাহর ফেরেস্তারা কবরবাসীকে প্রথমে যে ৩ টি প্রশ্ন করবেন।
তোমার রব কে,
তোমার নবী কে ও
তোমার দ্বীন কি ?
সেদিন সফলকাম লোকদের উত্তর হবে- আমার রব আল্লাহ, আমার নবী আহমদ বা হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) ও আমার দ্বীন হলো "ইসলাম"।
সেদিন যারা এই ৩ টি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিবে তারা প্রথমিকভাবে বিজয় লাভ করলো এবং তাদের জন্য শান্তিময় ঘুমের ব্যবস্থা হবে। কবর হবে তাদের জন্য খুবই আরামদায়ক ঘুমের আবাসস্থল। আর যারা সঠিক উত্তর দিতে পারবেনা, তাদের জন্য কবর হবে অতি যন্ত্রণাদায়ক আবাসস্থল।
যারা আল্লাহকে রব, মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) কে রিসালাতের নবী ও ইসলাম কে দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা মনে করেন, তাদের সকলের একমাত্র পরিচয় হলো "মুসলিম"।
এর বাহিরে অন্য পরিচয় থাকতে পারেনা বা হতে পারেনা।
কোন মুসলিম নিজেকে শিয়া, সুন্নী, ওহাবী, খারেজী, হানাফি, হাম্বালী, মালেকী, সাফী, আহালে হাদীসি, মাজহাবী, লা-মাজহাবী, মুতাজিল্লাহ, আহাম্মদী বা অন্য কোন পরিচয়ে দিতে পারবেনা। ইসলামের অনুসারীদের দুনিয়া ও পরকালের একমাত্র পরিচয় হলো মুসলিম এবং মুসলিম। হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) হলো ইসলামী রেসালাতের সর্বশেষ নবী। তাঁর মাধ্যমের ইসলাম দুনিয়াতে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। মানুষসহ সকল সৃষ্টির জীবন বিধান হলো "দ্বীন ইসলাম" আর কুরআন হলো মহান রব আল্লাহ তায়ালা পক্ষ থেকে মানব জাতির জন্য একমাত্র শতভাগ সহী গাইড লাইন গ্রন্থ। এই মহান গ্রন্থ মেনে চলা ইসলামের সকল অনুসারী তথা মুসলমানদের জন্য "ফরজ"। এই কুরআনের মাধ্যমের মুসলমানদের দুনিয়ার জীবন ব্যবস্থা পরিচালিত করতে হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ এর অনুসরণের মাধ্যমেই পাওয়া যাবে। নবী মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) উপর আল্লাহ তায়ালা দীর্ঘ ২৩ বছরে কুরআন নাজিল করেন আর তাঁর ২৩ বছরের নবুয়াত জীবন হলো কুরআনের অনুকরণ ও অনুসরণীয় জীবন। তিনি মুসলমান তথা সকল মানব জাতির জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একমাত্র উত্তম বা সর্বোত্তম আদর্শ মানুষ। তাঁর জীবনের শেষ বেলায় বিদায় হজ্জের সময় আরাফাত ময়দানে ১০ যিলহজ্জ তারিখ কাসওয়া উটনীর পিঠে আসন গ্রহণ করে তিনি একটি ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। সে সময় প্রায় এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার সাহাবী তাঁর চারদিকে সমবেত ছিল। সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়লে মানবতার মহান মানব, হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সঃ) বলেন-
হে লোক সকল, আমার কথা শোনো, আমি জানিনা, এবারের পর আমি তোমাদের সাথে এই জায়গায় আর মিলিত হতে পারবো কিনা। তোমাদের রক্ত ও ধন-সম্পদ পরস্পরের জন্য আজকের দিন, বর্তমান মাস এবং এই শহরের মতই নিষিদ্ধ। শোনো মানুষ সকল, জাহেলিয়াত যুগের সবকিছু আমার পদতলে পিষ্ট করা হয়েছে। জাহেলিয়াতের খুনও খতম করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মধ্যকার প্রথম যে রক্ত আমি শেষ করেছি তা হচ্ছে, রবিয়া ইবনে হারেসের পুত্রের রক্ত। জাহেলী যুগের সুদ খতম করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মধ্যকার প্রথম যে সুদ আমি খতম করেছি তা হলো, আব্বাস ইবনে আবদুল মোত্তালেবের সুদ, এখন থেকে সুদ শেষ করে দেওয়া হলো। আর নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো, তোমারা তাদের আল্লাহর আমানতের সাথে গ্রহণ করেছো, আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে হালাল করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার, তারা তোমাদের বিচানায় এমন কাউকে আসতে দিবেনা যাদের তোমরা পছন্দ করোনা। তোমাদের উপর তাদের অধিকার, তোমরা তাদের ভালো পানাহার ও পোশাক দিবে। তোমাদের কাছে আমি এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি, যদি তোমরা ধারণ করে থাকো তবে কখনও পথভ্রষ্ট হবেনা "তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব"।
মনে রেখো আমার পর কোন নবী নেই, তোমাদের পর কোন উম্মত নেই। আল্লাহর ইবাদত করবে, নামায আদায় করবে, রমজান মাসে রোজা রাখবে, আনন্দের সাথে নিজ সম্পদের যাকাত দিবে, আল্লাহর ঘরে হজ্জ করবে, নিজ শাসকদের আনুগত্য করবে, যদি এরুপ করো, তবে আল্লাহর জান্নাতে প্রবেশ করবে। তোমাদেরকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা কি বলবে ?
লক্ষ সাহাবী সমস্বরে বললেন, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি তাবলীগ করেছেন, পয়গাম পৌছে দিয়েছেন, কল্যাণ কামনার হক আদায় করেছেন। এ কথা শুনে বিশ্ব নবী মুহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) নিজের শাহাদাত আঙুল আকাশের দিকে তুলে লোকদের দিকে ঝুঁকে তিনবার বলেন, হে আমার রব, তুমি সাক্ষী থেকে।
তাঁর কথাগুলো হযরত রবিয়া ইবনে উমাইয়া ইবনে খালাফ উচ্চকণ্ঠে উপস্থিত সবার কাছে পৌছে দিচ্ছিলেন। আর আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর সেদিনের সাথীরা অঝোরে কান্না করছিলো। হযরত ওমর (রাঃ) কেঁদে কেঁদে বলছিলেন, পূর্ণাঙ্গতার পরতো অপূর্ণাঙ্গতাই থেকে যায়। ভাষণ শেষ করার পর আল্লাহ তায়ালা কুরআনের আয়াত নাযিল করেন- "আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাংগ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পর্ণ করলাম, ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম"।
(সুরা মায়েদা, আয়াত-০৩)
পরিশেষে বলবো, দুনিয়ার জন্ম-মৃত্যু স্রষ্টার সৃষ্টি, সময়ের শুরু ও শেষ এবং রুহ বা আত্মা এসব স্রষ্টার চিরন্তন সত্য ও একান্ত অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করে। জন্ম ও
মৃত্যু এমনই এক চিরসত্য বিধান
যেমন সত্য এই পৃথিবীতে আমার জন্ম,
আমার উপস্থিতি ও পদচিহ্ন। জন্মকে এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আমার যেমন ছিলোনা, ঠিক তেমনি মৃত্যু থেকে মুক্তির কোন ক্ষমতা বা পথ এই জীবনের নেই। প্রতিটি জীবনের চিরন্তন পতনের সঙ্গী মৃত্যু। আমার আগমনের চিরসাথী আমার চিরবন্ধু মৃত্যু। হে আমার জন্মের নিয়ন্ত্রণকারী মহান স্রষ্টা, হে আমার আত্মার প্রশান্তিদানকারী মহান প্রভু, হে সকাল জাহানের একমাত্র মালিক ও খালিক, হে আমার মৃত্যু দানকারী,
হে আমার পরিকল্পনা ও পরিচালনাকারী,
আমি তোমার থেকে আগত ও তোমার দিকে প্রত্যাগত, তোমারই ইচ্ছার অধীন।
আমার অন্তরকে তোমার স্বরূপের ভালোবাসায় প্রশান্তি দান করো।
(আমীন)
এই বিশ্বাস গুলো একজন মুমিনের জন্য ঈমানের শর্ত।
আর কুরআন হলো নবী মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) এর উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হওয়া পবিত্র কিতাব বা গ্রন্থ। এর বাণী গুলো মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে সকল সৃষ্টির জগতের জন্য আইন হিসেবে পাঠিয়েছেন। কুরআনের আদেশ ও নিষেধ মানা সকল সৃষ্টির জন্য আইন বা ফরজ।
দুনিয়াতে মানুষের জন্য নির্ভুল ও কল্যাণকর একমাত্র গ্রন্থ হলো "কুরআন"। নির্ভুল মানুষ নবী মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) এবং নির্ভুল পথ বা জীবন ব্যবস্থা ইসলাম। যারা উল্লেখ্য বিষয় গুলোর উপর বিশ্বাস করবে ও দুনিয়ার জীবনে মেনে চলবে তাঁরাই মুমিন মুসলিম বা ঈমানদার মুসলিম। আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য মনোনীত পথ হলো ইসলাম আর ইসলামের বিধান পালন কারীর একমাত্র পরিচয় হলো মুসলিম এবং মুসলিম। দুনিয়ার জীবন শেষে মৃত্যুর পর আল্লাহর ফেরেস্তারা কবরবাসীকে প্রথমে যে ৩ টি প্রশ্ন করবেন।
তোমার রব কে,
তোমার নবী কে ও
তোমার দ্বীন কি ?
সেদিন সফলকাম লোকদের উত্তর হবে- আমার রব আল্লাহ, আমার নবী আহমদ বা হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) ও আমার দ্বীন হলো "ইসলাম"।
সেদিন যারা এই ৩ টি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিবে তারা প্রথমিকভাবে বিজয় লাভ করলো এবং তাদের জন্য শান্তিময় ঘুমের ব্যবস্থা হবে। কবর হবে তাদের জন্য খুবই আরামদায়ক ঘুমের আবাসস্থল। আর যারা সঠিক উত্তর দিতে পারবেনা, তাদের জন্য কবর হবে অতি যন্ত্রণাদায়ক আবাসস্থল।
যারা আল্লাহকে রব, মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) কে রিসালাতের নবী ও ইসলাম কে দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা মনে করেন, তাদের সকলের একমাত্র পরিচয় হলো "মুসলিম"।
এর বাহিরে অন্য পরিচয় থাকতে পারেনা বা হতে পারেনা।
কোন মুসলিম নিজেকে শিয়া, সুন্নী, ওহাবী, খারেজী, হানাফি, হাম্বালী, মালেকী, সাফী, আহালে হাদীসি, মাজহাবী, লা-মাজহাবী, মুতাজিল্লাহ, আহাম্মদী বা অন্য কোন পরিচয়ে দিতে পারবেনা। ইসলামের অনুসারীদের দুনিয়া ও পরকালের একমাত্র পরিচয় হলো মুসলিম এবং মুসলিম। হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) হলো ইসলামী রেসালাতের সর্বশেষ নবী। তাঁর মাধ্যমের ইসলাম দুনিয়াতে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। মানুষসহ সকল সৃষ্টির জীবন বিধান হলো "দ্বীন ইসলাম" আর কুরআন হলো মহান রব আল্লাহ তায়ালা পক্ষ থেকে মানব জাতির জন্য একমাত্র শতভাগ সহী গাইড লাইন গ্রন্থ। এই মহান গ্রন্থ মেনে চলা ইসলামের সকল অনুসারী তথা মুসলমানদের জন্য "ফরজ"। এই কুরআনের মাধ্যমের মুসলমানদের দুনিয়ার জীবন ব্যবস্থা পরিচালিত করতে হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ এর অনুসরণের মাধ্যমেই পাওয়া যাবে। নবী মুহাম্মাদ মোস্তফা (সঃ) উপর আল্লাহ তায়ালা দীর্ঘ ২৩ বছরে কুরআন নাজিল করেন আর তাঁর ২৩ বছরের নবুয়াত জীবন হলো কুরআনের অনুকরণ ও অনুসরণীয় জীবন। তিনি মুসলমান তথা সকল মানব জাতির জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একমাত্র উত্তম বা সর্বোত্তম আদর্শ মানুষ। তাঁর জীবনের শেষ বেলায় বিদায় হজ্জের সময় আরাফাত ময়দানে ১০ যিলহজ্জ তারিখ কাসওয়া উটনীর পিঠে আসন গ্রহণ করে তিনি একটি ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। সে সময় প্রায় এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার সাহাবী তাঁর চারদিকে সমবেত ছিল। সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়লে মানবতার মহান মানব, হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সঃ) বলেন-
হে লোক সকল, আমার কথা শোনো, আমি জানিনা, এবারের পর আমি তোমাদের সাথে এই জায়গায় আর মিলিত হতে পারবো কিনা। তোমাদের রক্ত ও ধন-সম্পদ পরস্পরের জন্য আজকের দিন, বর্তমান মাস এবং এই শহরের মতই নিষিদ্ধ। শোনো মানুষ সকল, জাহেলিয়াত যুগের সবকিছু আমার পদতলে পিষ্ট করা হয়েছে। জাহেলিয়াতের খুনও খতম করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মধ্যকার প্রথম যে রক্ত আমি শেষ করেছি তা হচ্ছে, রবিয়া ইবনে হারেসের পুত্রের রক্ত। জাহেলী যুগের সুদ খতম করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মধ্যকার প্রথম যে সুদ আমি খতম করেছি তা হলো, আব্বাস ইবনে আবদুল মোত্তালেবের সুদ, এখন থেকে সুদ শেষ করে দেওয়া হলো। আর নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো, তোমারা তাদের আল্লাহর আমানতের সাথে গ্রহণ করেছো, আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে হালাল করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার, তারা তোমাদের বিচানায় এমন কাউকে আসতে দিবেনা যাদের তোমরা পছন্দ করোনা। তোমাদের উপর তাদের অধিকার, তোমরা তাদের ভালো পানাহার ও পোশাক দিবে। তোমাদের কাছে আমি এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি, যদি তোমরা ধারণ করে থাকো তবে কখনও পথভ্রষ্ট হবেনা "তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব"।
মনে রেখো আমার পর কোন নবী নেই, তোমাদের পর কোন উম্মত নেই। আল্লাহর ইবাদত করবে, নামায আদায় করবে, রমজান মাসে রোজা রাখবে, আনন্দের সাথে নিজ সম্পদের যাকাত দিবে, আল্লাহর ঘরে হজ্জ করবে, নিজ শাসকদের আনুগত্য করবে, যদি এরুপ করো, তবে আল্লাহর জান্নাতে প্রবেশ করবে। তোমাদেরকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা কি বলবে ?
লক্ষ সাহাবী সমস্বরে বললেন, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি তাবলীগ করেছেন, পয়গাম পৌছে দিয়েছেন, কল্যাণ কামনার হক আদায় করেছেন। এ কথা শুনে বিশ্ব নবী মুহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) নিজের শাহাদাত আঙুল আকাশের দিকে তুলে লোকদের দিকে ঝুঁকে তিনবার বলেন, হে আমার রব, তুমি সাক্ষী থেকে।
তাঁর কথাগুলো হযরত রবিয়া ইবনে উমাইয়া ইবনে খালাফ উচ্চকণ্ঠে উপস্থিত সবার কাছে পৌছে দিচ্ছিলেন। আর আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর সেদিনের সাথীরা অঝোরে কান্না করছিলো। হযরত ওমর (রাঃ) কেঁদে কেঁদে বলছিলেন, পূর্ণাঙ্গতার পরতো অপূর্ণাঙ্গতাই থেকে যায়। ভাষণ শেষ করার পর আল্লাহ তায়ালা কুরআনের আয়াত নাযিল করেন- "আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাংগ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পর্ণ করলাম, ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম"।
(সুরা মায়েদা, আয়াত-০৩)
পরিশেষে বলবো, দুনিয়ার জন্ম-মৃত্যু স্রষ্টার সৃষ্টি, সময়ের শুরু ও শেষ এবং রুহ বা আত্মা এসব স্রষ্টার চিরন্তন সত্য ও একান্ত অস্তিত্বের সাক্ষ্য বহন করে। জন্ম ও
মৃত্যু এমনই এক চিরসত্য বিধান
যেমন সত্য এই পৃথিবীতে আমার জন্ম,
আমার উপস্থিতি ও পদচিহ্ন। জন্মকে এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আমার যেমন ছিলোনা, ঠিক তেমনি মৃত্যু থেকে মুক্তির কোন ক্ষমতা বা পথ এই জীবনের নেই। প্রতিটি জীবনের চিরন্তন পতনের সঙ্গী মৃত্যু। আমার আগমনের চিরসাথী আমার চিরবন্ধু মৃত্যু। হে আমার জন্মের নিয়ন্ত্রণকারী মহান স্রষ্টা, হে আমার আত্মার প্রশান্তিদানকারী মহান প্রভু, হে সকাল জাহানের একমাত্র মালিক ও খালিক, হে আমার মৃত্যু দানকারী,
হে আমার পরিকল্পনা ও পরিচালনাকারী,
আমি তোমার থেকে আগত ও তোমার দিকে প্রত্যাগত, তোমারই ইচ্ছার অধীন।
আমার অন্তরকে তোমার স্বরূপের ভালোবাসায় প্রশান্তি দান করো।
(আমীন)
লেখকঃ
মুহাম্মাদ মহসীন ভূঁইয়া
বিএসএস (অনার্স), এমএসএস(অর্থনীতি)।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
মুহাম্মাদ মহসীন ভূঁইয়া
বিএসএস (অনার্স), এমএসএস(অর্থনীতি)।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments:
Post a Comment