Tuesday, April 9, 2019

শেষ বিকালের ডাক (মুহাম্মাদ মহসীন ভূঁইয়া)

শেষ বিকালের ডাক (
মুহাম্মাদ মহসীন ভূঁইয়া)

বৃহস্পতির বিকাল বেলা আমায় নিও বন্ধু।
তোমার প্রেমে পাগল হয়ে পাড়ি দিবো সিন্ধু।
রক্তমাখা জামা গায়ে আসবো সেদিন কাছে।
আপন যারা পালিয়ে যাবে তুমি থাকবে পাশে।
চোখের জ্যোতির বন্ধ হবে থাকবে নাকো আলো।
আলোর ভরা ভুবন সেদিন আমার হবে কালো।
শেষ গোধূলির লাল শাড়িটি পড়বে আকাশ জানি।
এই পৃথিবী মরিচিকা তুমি সত্যের স্বামী।
গোসল শেষ সাজবো আমি উঠবে সেদিন খাটে
শুক্রবারের প্রভাত শেষে রাখবে নদীর ঘাটে
পাগল তোমার সব হারিয়ে আসবো সেদিন ফিরে।
ক্ষমা করে আদর মেখে নিও জ্যোতি ঘিরে।
মাটির নূরে মাটি ঘুরে আসছি মাটির ঘরে।
এই মাটিতে তুলবে আবার প্রলয়ে ঘুর্ণীর পরে।
জীবন আমার তোমায় ভুলে কাটছি হেলার ছলে।
রক্ষা করো মহান প্রভু দয়ার সাগর হলে।

Friday, April 5, 2019

হিংস্রতা অমানুষের রুপ


মানুষ এমন একটি প্রাণী বা জীব, যার মান ও হুশ রয়েছে। আকারে পরিবর্তনশীল প্রতিটি বস্তুর জীবন আছে, তবে সকল জীবনের মান ও হুশ নেই। যাদের মান আর হুশ আছে তাদেরকে সমাজে মানুষ বলে। আজকাল আবার কিছু কিছু মানুষের ভিতরে অমানুষের আত্মা ভরকরে আছে, আকার ও আওয়াজে মানুষের মত হলেও,এরা আসলে মানুষ নয়। এদের চেতনা শক্তি কম, ন্যায় ও অন্যায় এর মাঝে পার্থক্য বুঝেনা। সত্য মিথ্যার ব্যবধান করেনা, নিজেদের পক্ষে হলে হাসে আর বিপক্ষে গেলে গলা উছিয়ে কাশে। অনেকে আবার অতি বুদ্ধির ডেকোর তুলে অতি প্রগতিশীলতা অভিনয় করে। মানুষকে বিচার করে ধর্ম,বর্ণ,জাতির ও নীতির পরিচয়ে। সমাজ ব্যবস্থায় আজকাল এমন মানুষের অবস্থান ব্যাপক উন্নত স্তরে।রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ তলায় এখন মান ও হুশ বিহীন অভিনেতা মানুষের সংখ্যায়ই বেশি। মানুষের মানবিকতা অমানুষের স্তরে চলে এসেছে। নিজের প্রয়োজনে একজন অন্যজনকে দাসের মত ভাবতে লজ্জাবোধ করেনা। পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্র নিয়ে ভাবতে চায়না। জীবনের ধ্যান জ্ঞান নিজেকে নিয়ে, নিজের ভোগ ও সুখ নিয়ে। আত্মসুখ ও মনের শান্তির জন্য জগৎ জ্বালিয়েও এদের ভোগ মিঠেনা। আজকাল মানুষের বাহ্যিক রুপের সাথে শিকারি সিংহ ও হিংস্র হায়নার মানসিকতা যুক্ত হয়ে এক নতুন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। এককথায় বলতে পারেন, শিকারি পশুরমত হিংস্র মানুষ। কাক কাকের মাংস না খেলেও, মানুষ কিন্তু ঠিকই মানুষের মাংস খায়। এরা কুপিয়ে কুপিয়ে খায়, পিটিয়ে পিটিয়ে খায়, পায়ের তলা দিয়ে পিষ্টে মানুষ মেরে খায়, হাতুরি দিয়ে চেঁচে চেঁচে নিজ বন্ধুর মাংসও খায়। নীতির পার্থক্য বা ধর্মের পার্থক্যের জন্য মানুষ নিজ প্রজাতিকে হত্যা করে খায়। দল বা আদর্শের জন্য একজন অন্যজনকে প্রকাশ্যে হত্যা করে নৃত্য করছে আর ধ্বংস করছে মানবতা ও মানসিকতাকে। আদর্শ, ধর্মীয় তকমা ও প্রগতির চেতনায়  মানুষ হত্যা এখন স্বাভাবিক ও আইন সংগত ব্যাপার হয়ে গেছে। কেউ ক্ষমতায় থাকার জন্য মানুষের পোড়া মাংস খায়, আবার কেউ ক্ষমতায় আসার জন্য পোড়া মাংসের কাবাব খায়। স্বর্গ পাওয়ার আশায় মানুষ মানুষকে মেরে, মানুষকে কথার আঘাত দিয়ে সুখ পায় আবার কেউ কেউ স্বর্গীয় সুখের অনুভূতি পেতে মানুষের উপর বোমা মারে। জগতের আধুনিক রুপ তৈরি করতে এক মানুষ অন্য মানুষকে দাস বানিয়ে কাজ আদায় করছে। আধুনিক সভ্যতার ইমারত গুলোকে আজ রক্ত মাংসের ইমারত মনে হয়। এক সভ্যতার স্থায়িত্বের জন্য অন্য সভ্যতাকে মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিচ্ছে এজগতের অসভ্য ও মাংস লোভী হিংস্র মানুষ গুলো। এখন মানুষ হিংস্র জানোয়ার থেকে নিরাপদ হলেও, অতি আধুনিক প্রগতিশীল হিংস্র মানুষ থেকে নিরাপদ নয়। সমস্ত পৃথিবীকে এরা নিজ সুখ ও শান্তির জন্য খোদার নরক বানাচ্ছে।  বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে শান্তির নিরাপদ শহরকে। এসব অমানুষদের বিষক্রিয়া এত মারাত্মক যে, আকাশ-বাতাস  বিষের আগুনে জ্বলছে। এদের নীতি আদর্শ বা ব্যবস্থার বিরোদ্ধে কথা বললে, আপনাকে শুয়রের পালের মত আক্রমণ করবে। প্রয়োজনে আপনাকে থামাতে গুম,খুন বা হত্যার পথে নামবে। এরা নিজের পথ ও মতের জন্য অন্যের বুকে চুরি চালায়। আজ সমাজ রাষ্ট্র বা বিশ্বে এদের হিংস্রতার জোয়ার বইছে। এদের হাত থেকে আমি, আপনি, আমরা বা আমাদের জীবন নিরাপদ নয়। এদের প্রগতি বা ধর্মীয় উন্মাদনায় ৭১ সালে গণহত্যা, ৭২ ও ৭৩ এর গুপ্ত হত্যা, ৭৫ এর কালো হত্যা, জেলহত্যা, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের হত্যা, বিডিআর হত্যা, জঙ্গিবাহিনী বোমা হামলা, শাপলা চত্তরের হত্যা ও ২৮ অক্টোবরের প্রকাশ্যে মানুষ হত্যাসহ রাজনীতির নামে বিনাবিচারে মানুষ হত্যা আজ সুস্থ সমাজকে অসুস্থ সমাজে পরিনত করেছে। এদের বাহিরের রুপ মানুষের আর ভিতরের রুপ জানোয়ারের।
লেখকঃ
মুহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া
বিএসএস (অনার্স) এমএসএস (অর্থনীতি)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
mohsinbhuiyan1980@gmail.com

Thursday, April 4, 2019

৭১ পরাজিতরা আবারও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে

৭১ পরাজিতরা আবারও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেঃ (মহসীন ভূঁইয়া)

জাতীয় প্রেসক্লাবে  বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত "সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজনীতিকদের করণীয়" শীর্ষক আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন ভূঁইয়া বলেন, গত ৩০ তারিখ নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করে এদেশের ষোলো কোটি মানুষ ৭১ পরাজিতদের প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ এখন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সাথে আছে। উন্নয়ন আর গণতন্ত্রের পক্ষে মানুষ রায় দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতি, মাদক আর সন্ত্রাসের বিরোদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমিক হতে হবে এবং মাদক,  সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে সরকারের পাশে থাকতে হবে কারণ ৭১ পরাজিতরা আবারও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদীর সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায়  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি, যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট ডাঃ এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
আরো বক্তব্য রাখেন বিএলডিপির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বিকল্প ধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এম পি ও চাকসু ভিপি শাহ মাজহারুল হক চৌধুরী, বিকল্প ধারার ভাইস চেয়ারম্যান এনায়েত কবির, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া,জন দলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী,বাগসদ সভাপতি সরদার শামস আল মামুন,ইসলামী গণতন্ত্র পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, লেবার পার্টির নেতা সুরুজ্জামান, রাজু আহমেদ পোদ্দার, জিয়াউর রহমান, কামরুল ইসলাম সুরুজ প্রমুখ।