Friday, December 21, 2018

আত্মার আলোতে স্রষ্টার বসবাস -দেহতত্ত্বঃ মুহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া


আত্মার আলোতে স্রষ্টার বসবাস-দেহতত্ত্বঃ
(মুহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া)

মানুষের আত্মা হলো পবিত্র আলো, সে আলো  সৃষ্টির উৎস স্রষ্টার হুকুম থেকে আসে, আত্মা এমন এক আলো যেখানে আলোর স্রষ্টা থাকে। প্রতিটি মানুষ আলোর বাহক বা ধারক, আলোর অবস্থান থাকলেও আকার নেই, সুতারাং আত্মার আকার নেই, আত্মা নিরাকার, অর্থাৎ মানুষের চিন্তায় বা ধারণায় বা জ্ঞানের সীমানায় আত্মার কোন আকার নেই। সেভাবে বলতে গেলে আলোর উৎস বা স্রষ্টারও আকার নেই সৃষ্টির ধারণা বা জ্ঞান চিন্তার সীমানায়। আলোর সাথে প্রদীপের যেমন সম্পর্ক আছে উৎস মূলে, ঠিক তেমনি মানুষের আত্মার সাথে স্রষ্টার সম্পর্ক । মানুষ নিজ আত্মার আলোর মাধ্যমে  স্রষ্টার ধারক বা বাহক। মানুষ কষ্ট পেলে আত্মাও কষ্ট পায়, আত্মা কষ্ট পেলে স্রষ্টাও কষ্ট পায়। মানুষ আনন্দ পেলে আত্মা আনন্দ পায়, আর আত্মা আনন্দ পেলে আত্মার আলোতে থাকা স্রষ্টাও্ আনন্দ পায়। সুতারাং
মানুষকে কষ্ট পেলে স্রষ্টা কষ্ট পায়, আনন্দ পেলে স্রষ্টা আনন্দ পায়।

মৃত্যুঃ
জন্ম আর মৃত্যুর ফায়সালা জমিনে নয়, আসমানে হয়। জন্মের মত মৃত্যুটাও মানুষকে স্বাভাবিক নিয়মে মেনে নিতে হয়। কার কখন মৃত্যু হবে, কেউ বলতে পারবেনা। আমার বা আপনার, আমাদের সকলকেই মৃত্যুর সাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যু মানে পৃথিবী থেকে প্রস্থান বা চিরবিদায়। আজ পর্যন্ত যত মানুষ দুনিয়াতে এসেছে, তাদের সবাইকে চলে যেতে হবে। সৃষ্টিশীলের সৃষ্টিনাশ হবেই। এটা আস্তিক বা নাস্তিক সবাই একবাক্যে বিশ্বাস করে এবং মানে। এখন পর্যন্ত কোন নাস্তিক বা মানুষ বা অন্য সৃষ্ট জীব এটা বলেনি যে, আমি আমৃত্যু।  
স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক, কালে বা অকালে মৃত্যু আসবেই। মৃত্যুকে নিয়ে সবারই একটা কৌতূহল আছে, যদিও মরে এর সাদ বা জানার ইচ্ছা কারও নেই। কথায় আছে সবাই বেহেশতে বা স্বর্গে যেতে চায়, কিন্তু কেউ মরতে চায়না। অথচ বেহেশত বা স্বর্গ প্রাপ্তি হয় মৃত্যুর পর। 
এই মৃত্যু আসলে কি ?
এর শতভাগ সঠিক ও বাস্তব জ্ঞান পাওয়া যেত, যদি মৃত্যুর পর আবার জীবিত হয়ে দুনিয়াতে আসা যেত। কিন্তু এটা কি সম্ভব ?  এক কথায় অসম্ভব। মৃত্যুর পর দুনিয়াতে আবার পিরে আসবে এই আশায় কেউ কি মরতে চাইবে  ?  মনে হয় কেউ চাইবেনা। মানুষ আল্লাহ বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করুক বা না করুক। এটা সবাই বিশ্বাস করে যে, মৃত্যুর পর আবার মানুষ হয়ে একই আকারে আর আসবেনা। পৃথিবী থেকে মৃত্যুর মাধ্যমে চিরবিদায় হতে হয়। যদি আসার সুযোগ থাকতো, তাহলে অন্তত মুসলমানদের নবীরা বা হিন্দুদের দেবতারা বা ঈশায়ীদের যীশু সবার আগে আসার সুযোগ পেত। এদের কাউকে যেহেতু স্রষ্টা বা দুনিয়ার নিয়ম মৃত্যুর পর আবার আসার সুযোগ দেয়নি। আমরাতো সাধারণ মানুষ। আমাদের কোন  পূর্ণকর্মের জন্য দিবে ? মৃত্যু হলো এমন এক ধ্বংস বা বিনাশ, যার মাধ্যমে দেহের থেকে প্রাণের বা আমার থেকে আমির প্রস্থান। সৃষ্টিজগতে আমার দেহ পরে থাকে আর আমি প্রাণ দেহ ত্যাগ করে আগের জগতে চলে যাই। 
স্রষ্টাঃ
স্রষ্টার আসন তৈরি হয়েছে জন্ম-মৃত্যুর মাধ্যমে। জন্ম আর মৃত্যু একজন সৃষ্টিকারী ও সৃষ্টির রুপ যেমন প্রমাণ করে, ঠিক তেমনি ভাবে স্রষ্টাতত্ত্বের আদর্শিক প্রমাণ তৈরি হয়। যদি জন্মই অনন্ত হয়, মৃত্যুর বিধান চিরতরে বিনাশ হয়, তাহলে স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টির কাছে থাকবেনা। প্রতিটি সৃষ্টি নিজেই স্রষ্টার আসনে বসবে। প্রত্যেক সৃষ্টি নিজেই হবে একজন স্রষ্টার দাবিদার। মৃত্যুহীন পৃথিবী জন্মহীন স্রষ্টার সমান। প্রাণের জন্মই হয় মৃত্যু জন্য, জন্ম আর মৃত্যর রহস্য জানা সৃষ্টির জন্য নয়, এটা একান্তই সৃষ্টি সীমার বাহিরে। জন্মের মাধ্যমে যে প্রাণের সৃষ্টি হয়না, দেহের সৃষ্টি হয়। প্রাণের বিনাশ সৃষ্টি জগতে অসম্ভব। পৃথিবী নিজেই সৃষ্ট, তার নিজের মৃত্যু বা ধ্বংস অনিবার্য। প্রাণের সৃষ্টি স্রষ্টালয়ে হয়েছে, মৃত্যু কি করে  সৃষ্টিলয়ে হবে  ?  যার সৃষ্টি হয়, সে স্রষ্টার সৃষ্টিকে মৃত্যু দিতে পারেনা। জন্ম আর মৃত্যু হলো একান্ত স্রষ্টার নির্দেশ বা আদেশ।  এটার বিনাশ সৃষ্টিশীল পৃথিবীতে নয়, বিনাশ হবে সৃষ্টির বাহিরে স্রষ্টার জগতে। প্রাণের জন্মে প্রাণীর নিজ ইচ্ছা বা ক্ষমতা যেমন নেই, প্রাণীর প্রাণ বিনাশের ক্ষমতা তার অধীনে নয়, সৃষ্টিশীল পৃথিবী হলো আগমন আর প্রত্যাবর্তনের একটি চক্রের কাল। এখানে তৈরি বা সৃষ্টি নয়, শুধু আগমন আর প্রত্যাবর্তন হয়। সৃষ্টি যেমন সৃষ্টি করতে পারেনা, তেমনি ভাবে সৃষ্টি চিরতরে বিনাশ বা ধ্বংস করতে পারেনা। সৃষ্টি বা জন্ম যেমন চির অজানা রুপ, মৃত্যু বা চির বিনাশ সৃষ্টিজগতে অজানাই থাকবে। প্রাণের রুপ দেহে স্থায়ী নয়, প্রাণ হলো স্রষ্টার হুকুম আর দেহ হলো প্রাণের ধারক। প্রাণ আর দেহ এক নয়, দু'টার সৃষ্টি এক জগতে হয়নি, এক সময়ও নয়। দেহ তৈরি পৃথিবীতে, এর বিনাশও পৃথিবীতে। আর প্রাণের সৃষ্টি যেহেতু পৃথিবীতে হয়না, বিনাশ কি করে হবে ?  দেহের জন্ম পৃথিবীতে, মৃত্যুও পৃথিবীতে হয়। প্রাণের জন্ম দেহের অজানা, প্রাণের চিরবিনাশ বা চিরতরে মৃত্যুও অজানা। এটা অস্থায়ী দেহে স্থায়ী নয়। পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম হয়না, দেহের সৃষ্টি হয় এবং দেহের মৃত্যু হয়, প্রাণের মৃত্যুও হয়না। প্রাণ দেহের ভিতর আসে এবং দেহের মৃত্যুর মাধ্যমে প্রাণ দেহ ত্যাগ করে। দেহ হলো প্রাণহীন খাচা। এটা সৃষ্টির শুরুতে প্রাণহীন আবার শেষেও প্রাণহীন হয়ে বিনাশ হয়। দেহের মৃত্যু হয় পৃথিবীতে, প্রাণের পৃথিবীতে মৃত্যু হয়না। প্রাণ হলো স্রষ্টার রুপের ধারক,দেহ হলো সৃষ্টির আকার বা রুপ। দেহ বস্তুগত সৃষ্টি, প্রাণ অবস্তুগত শক্তি। দেহের আকার আছে, প্রাণ নিরাকার। দেহ প্রাণহীন হলে মৃত, প্রাণ দেহহীন হলেও মৃত নয়। দেহের অস্তিত্ব পরিবর্তনশীল, প্রাণের নিরাকার রুপ পরিবর্তনশীল নয়। প্রাণের মৃত্যু হবে প্রাণের জন্মের মতই স্রষ্টার হুকুম বা নির্দেশে। প্রাণ দৃষ্টিপটের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শক্তি, দেহ হলো দৃষ্টিগোচর হওয়া মাংসপিণ্ডের আকার। দেহের মৃত্যুতে প্রাণের অস্তিত্ব বিনাশ নয়, দেহ বিনাশ হয়। 
সময়ঃ
সময় আর নদীর বহমান স্রোত ঘড়ির কাটার মতই চলমান। এরা কারো জন্য অপেক্ষা করেনা।পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর স্থির হতে পারে, বন্ধ হতে পারে মানুষের তৈরি আয়োজন। সময়, বহমান নদীর স্রোত আর ঘড়ির কাটা চলবেই। অন্ধজন আলোহীন, তাই বলে সূর্যের আলো কোনদিন বন্ধ হয়নি, হবেওনা। পৃথিবীর শুরু যেহেতু আছে, শেষও হবে একদিন। তবে সময়ের শুরু নেই, শেষও নেই। সময় হলো স্রষ্টার অস্তিত্বশীলতার পথিক বা সিম্বল।  সময়ের মহাকালে আজকের পৃথিবীর সম্পূর্ণ ইতিহাসের ছবিটাকে আমি এক সেকেন্ডের হাজার কোটি ভাগে এক অংশ মনে করতে পারি, বা তার চেয়ে আরো কোটি কোটি গুণ ছোট। অর্থাৎ মানব রচিত সর্বছোট সময়ের খন্ডটি হলো পৃথিবীর সমস্ত জীবনের আয়ুরেখা।  পৃথিবী হলো মহাকাশের হাজার কোটির ছায়াপথ পরিবারের মাঝারি ধরনের একটি ছায়াপথের সদস্যের অন্তর্ভুক্ত।  এক ছায়াপথে হাজার কোটি নক্ষত্র থাকে, আর ঐ নক্ষত্রের একজন হলো সূর্য। সূর্যের মহালয়ে ঘূর্ণিত একটি মাঝারি মানের অংশ হলো পৃথিবী। যার বিশাল পরিধীতে সাতশত কোটি মানুষসহ সকল প্রাণীজগৎ বসবাস করে। সাথে আছে প্রাণহীন মানব রচিত বিশাল কর্মযজ্ঞ।  আর এসবই হচ্ছে ঐ মহাকালে এক সেকেন্ডের অতি সূক্ষ্মতর সময়ে। আমি মনেকরি, সময় মানেই হলো স্রষ্টাতত্ত্বের শুরু,যার শুরু নেই, শেষও হবেনা। এই সময় হলো মহাকালের ঘড়ি। শুরু আর শেষ আছে সৃষ্টির, স্রষ্টার বা সময়ের শুরুও নেই আবার শেষও হবেনা। এটা চিরন্তন সত্য ও চিরস্থায়ী মহাকালের চলমান ঘড়ি। যার আকার লুকিয়ে থাকে নিরাকার সময়ের ভিতর।
দেহ খাঁচারঃ
প্রচলিত প্রবাদ আছে-শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু, এই কাল বা সময়টি হলো একজীবন।  পৃথিবীর এক জীবনে একবার জন্ম এবং একবারই মৃত্যু হয়। এই সময় একজন মানুষ স্বাভাবিক নিয়ম মতে, শিশুকাল, কিশোরকাল, তরুনকাল,যৌবনকাল এবং বৃদ্ধকাল হয়ে জীবনের শেষকালের সমাপ্তি হয়। আবার কিছু মানুষ কালের ভিতর অকালেও জীবনের মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয়। সেটা হতে পারে জন্মের পরপর, অথবা মাঝামাঝি যেকোন সময়ে। মানুষ জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ে যে কাল অতিবাহিত করে তাকে এক কথায় জীবনকাল বলা হয়। কেন আমি বা তুমি এই পৃথিবীতে এসেছি ?
কিসের মোহে এখানে থেকে যেতে চাই ? জন্মের আগে কোথায় ছিলাম?
কোন আকারে ছিলাম ?  আমরা কি  নিরাকার ছিলাম ?  আমরা কি পৃথিবীতে আসার আগে অস্থিতহীন ছিলাম ?  এমন প্রশ্ন মাথায় আসতেই পারে। আমি কোন এক ধর্ম মতের যুক্তিকে যদি তুলেধরি, তাহলে অন্য ধর্মের অনুসারীরা হয়তে মানতে চাইবেনা।  আবার যারা ধর্মই মানেনা, তারা বলবে, জীবনের আগে শূন্য আবার পরেও শূন্য। আমি আমার মতামত বলবো, আপনাকে মানতে হবে বা অমান্য করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাদকতা নেই। আমি মনে করি,  মানুষ হিসেবে মতামত দেওয়ার অধিকার আমার রয়েছে। এই পৃথিবীটা আমার বা আপনার বা শুধু মানুষের নয়। এখানে বাচাঁর অধিকার সকল সৃষ্টিকুলের। সবাই নিজ যোগ্যতা বা ক্ষমতার আলোকে বেঁচে থাকতে পারবে, এমনটা আমি মনে করি। জন্ম ও মৃত্যু বিচার করলে সকল সৃষ্টিকুল হলে আগমন ও প্রস্থানকারী, কেউ স্থায়ী অধিবাসী নয়। পার্থক্য শুধু আগে এসে আগে যায়, পরে এসে পরে যায়। বয়সের বড় হওয়াটা কারো যোগ্যতা বা ব্যক্তিগত গুণ নয়। এটা হলো নিয়ম, পৃথিবীতে আমার বড় যেমন কোটি কোটি সৃষ্টি রয়েছে, ঠিক তেমনি ছোটও রয়েছে। দুনিয়ার বা পৃথিবীর মাঝে ছোট- বড় আছে, কিন্তু আমাদের আত্মা বা রুহ বা আমার ভিতরের আমি বা তোমার ভিতরের তুমির মাঝে কি ছোট- বড় আছে  ?  'না' নেই। এটা একটা স্পীড বা শক্তি বা হুকুম বা আদেশ বা অদৃশ্য প্রোগ্রামের শুরু।যেমন 'আলো',  এটা কোথায় থেকে আসে আবার কোথায় চলে যায় ?  অথবা 'অন্ধকার'। আচ্ছা ধরুন, আপনি একটা অন্ধকার কক্ষে আছে,  দরজা জানালা বন্ধ। বাহিরের আলো ভিতরে আসতে পারছেনা। এখন আপনি একটা প্রদীপ জ্বালানোর কক্ষটি আলোকীত হলো। বলুনতো গহীনকালো অন্ধকার কোথায় চলে গেল?  সেতো এতক্ষন আপনার সাথেই ছিল। আবার আপনি যখন প্রদীপটির আলো নিবিয়ে দিবেন, সাথে সাথে রুমটি অন্ধকার হয়ে যাবে। হঠাৎ কোথায় থেকে এলো এই অন্ধকার ?  সেতো ছিলনা। আমি বলছি, বন্ধ ঘরে বা রুমে আলো আর অন্ধকারে মতই আমাদের প্রাণ বা রুহ বা আমার ভিতর আমি আসি +জন্ম) এবং চলে (মৃত্যু) যাই। আলো আর অন্ধকার যেমন আমরা চিনতে পারিনা, ধরতে পারিনা, রাখতে পারিনা, নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা এবং এর যেমন আকার বা বয়স নির্নয় করা যাবেনা, ঠিক তেমনি রুহ বা প্রাণেরও বয়স নেই। সে শুধু ঐ বন্ধ ঘরের ভিতরে আলো আর অন্ধকারের মত করে আসে, কিছুকাল থাকে, আবার চলে যায়। আমাদের শরীল হলো একটা অন্ধকার বন্ধখাঁচা, রুহ বা প্রাণ আলো হয়ে জন্ম নেয়, আবার অন্ধকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে চলে যায়।   আসার আগে এবং যাওয়ার পরে তার অবস্থান হলো একটি শক্তি বা হুকুমের আকারে। আলোকে যেমন অন্ধকার দিয়ে ঢেকে রাখা যায়না, রুহুকে তেমনি খাঁচা দিয়ে আটকে রাখা যায়না। যেই গতিতে এসেছে, সেই গতিতে চলে যায়। পরিশেষে আমি বলবো,জন্ম হোক যথাতথা, কর্ম হোক ভালো।

লেখকঃ
মুহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া
বিএসএস(অনার্স)এমএসএস(অর্থনীতি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। 

No comments:

Post a Comment