উন্নয়নের গণতন্ত্র ও রুপকথার কাহিনী।
বাংলাদেশের উপর বর্তমানে স্বৈরাচারিনীর শাসন কায়েম রয়েছে, তারা জনগনের ভোটাধীকার হরণ করে অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে, দেশে হত্যা, গুম-খুন, বিরোধী দলকে হামলা মামলা, কারাবরণ আর নির্যাতন দিয়ে দমন করতে চায়। দেশের শাসন ব্যবস্থার রুপ আজ বাকশালী একনায়কতন্ত্র ধারণ করেছে, স্বাধীন শাসন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, সর্বোচ্চো খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, সফল রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রধান সৈনিক, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার রুপকার, গণতন্ত্রের জননী, বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক জোটের রুপকার বেগম খালেদা জিয়াকে আজ বিনা বিচারে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে বন্ধী করে রেখেছে। হত্যা করেছে বিএনপি- জামায়াত জোটের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে। হাজার হাজার মিথ্যা মামলায় লক্ষ লক্ষ নেতা- কর্মী আজ কারাগারে। স্বাধীনাতার পরে আজ দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে, দেশে অর্থব্যবস্থা ধ্বংসের শেষ সীমানায়, ব্যাংক ও ব্যবসা বানিজ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে, গণতন্ত্রহীন উন্নয়নের নামে চলছে রাষ্ট্রিয় লুটতরাজ আর লুটপাটের হলি খেলা। সরকার নিজেদের আখের গোছাতে মহাব্যস্ত, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি আর দুঃশাসনের কারণে জনগন অস্থির। বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ রিজার্ভ চুরি , ডেসটিনির আর যুবকের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, হলমার্কের ব্যাংক ঋনের নামে লুটপাট, বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যাংক জালিয়াতি, কুইক রেন্টালের নামে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি, ফ্লাইওভার নির্মাণের অতিরিক্ত (তিনগুণ বেশি) ব্যয় করে দুর্নীতি, ভারতের স্বার্থে রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে সুন্দরবনকে ধ্বংসের পায়তারা, তিস্তা চুক্তিতে ব্যর্থ হয়েও ভারতকে অতি তোষামোদি করে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ট্রানজিট দেওয়া, বারবার গ্যাস বিদুৎ এর দাম বাড়িয়ে জনগনের অর্থলুট, রোহিঙ্গা সংকটে মায়ানমারের সাথে সফল আলোচনায় ব্যর্থতা, পিলখানা বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থতার দায়, উত্তর ও পশ্চিম বঙ্গে চরমপন্থির উত্থান, জঙ্গিবাদী নির্মূলে ব্যর্থতা, রাষ্ট্রীয় গুম-খুনের রেকর্ড সৃষ্টি, সরকারের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ সুবিশাল, সরকারের ভিতরের ব্যক্তিরা শেয়ার বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট। বিচার ব্যবস্থায় সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ, কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা, রিমান্ডের নামে বিরোধী কর্মী হত্যা, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গুলি চালানো, শাপলাচত্তরে হেফাযতের উপর নির্মম হত্যাকান্ড চালানো, মানবতা বিরোধীদের বিচারের নামে বিএনপি জামায়াতে শীর্ষনেতাদেরকে ফাঁসি দিয়ে রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের রেকর্ড সৃষ্টি। শিশু ও নারী ধর্ষণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়া, বিচারবিহীনভাবে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যাকান্ড বা এন কাউন্টার। শাস্তিপ্রাপ্ত আসামীকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেওয়ার। ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে ব্যাপক দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মানুষ আজ অতিষ্ঠ। শিক্ষা ব্যবস্থা আজ ধ্বংসের প্রান্তে, প্রতিযোগীতা মুলক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ধারাবাহিক সিরিয়াল ও ছাত্রলীগের বাণিজ্য। মায়ের কোলের শিশু, পথচারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দলীয় কোন্দেলের সংঘর্ষের গুলিতে নিহত হওয়া, বদরুল আর ঈশাদের কর্মকান্ড, ছাত্রলীগের হাতে প্রকাশ্যে বিশ্বজিৎ হত্যাসহ সংসদে দাড়িয়ে বিরোধী দলকে গালাগালি আর ইতিহাস বিকৃত বক্তব্য দেওয়া, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় বিকৃত ও অরুচিকর ভাষায় বক্তব্য দেওয়া, বিশ দলীয় জোটের প্রকাশ্য সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ আর অনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দিয়ে সরকার পরিচালনা। ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে এদেশের জনগনের সাথে প্রতারণা করেছে বর্তমান অনির্বাচিত সরকার। এছাড়া সরকারের অধীনে নির্বাচনের নামে গত ৫ই জানুয়ারী ভোটার বিহীন একটি প্রহসনের নির্বাচন করে, গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে নব্য বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে ক্ষমতায় থাকাটাই আজ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের গণতন্ত্রঃ ও রুপকথা কাহিনী।
লেখকঃ
মুহাঃ মহসীন ভূঁইয়া
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ লেবার পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি।
No comments:
Post a Comment