Tuesday, November 27, 2018

আমার স্বপ্ন আমার দেশঃ(মুহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া)

আমার স্বপ্ন আমার দেশঃ(মুহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া)

     "দুর্নীতি দুঃশাসন করবো শেষ
      গড়বো নিরাপদ বাংলাদেশ"

চেতনায় ৭১ বুকে ধারন করে সম্পূর্ণ দুর্নীতি, দারিদ্র ও বেকারত্ব মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে, এদেশকে আধুনিক  প্রযুক্তিনির্ভর কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, শোষণহীন, ন্যায় ও সাম্যের সমাজ বিনির্মাণের  লক্ষ্যে- ১৫ বছরের মাস্টার পরিকল্পনা (মেগা পরিকল্পনা) হাতে নিয়ে ৭১-দফা-

১। সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র  গঠনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

২।  অদক্ষ নাগরিকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে সকল কর্মক্ষম নাগরিকদের দেশে বা বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করা হবে এবং দক্ষ বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে।

৩। এইচ এস সি পর্যন্ত একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে - আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা,ব্যবসা শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক  করা হবে।

৪।রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া কোন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা  যাবেনা।

৫।  কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে খাদ্য উৎপাদ বৃদ্ধি করা হবে ও নাগরিকদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা হবে এবং খাদ্য রপ্তানিকারক দেশ গঠনের লক্ষ্যে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

৬। নাগরিকদের মৌলিক চিকিৎসার অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরোদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৭।  রাষ্ট্রীয় খরচে কোন নাগরিকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবেনা বা চিকিৎসা ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবেনা।

৮। ভূমিহীন ও স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য  সুদবিহীন ঋণের মাধ্যমে গৃহঋণ প্রকল্প চালু করা হবে।

৯। মাদক মুক্তি দেশ গঠনের লক্ষ্যে, মাদক দ্রব্যের ব্যবহার আমদানি-রপ্তানি ও উৎপাদন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে (তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তারের অনুমতিতে ব্যবহার করা যাবে) এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের চাকুরী প্রদান করা হবেনা।

১০। সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের সময় এবং চাকুরীজীবনে ৫ বছর পরপর ড্রাগ টেস্ট দিতে হবে।

১১। সামরিক ব্যয় কমানো লক্ষ্যে এবং প্রতিটি নাগরিককে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ সবল করে গড়ে তোলার জন্য (৩ মাসের) সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

১২। বাল্য বিয়ে বন্ধ, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে কার্যকর আইন প্রণয়ন, সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রচারণা বৃদ্ধি এবং যৌতুক বিহীন বিয়ের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সুদ মুক্ত মেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে।

১৩। শিক্ষিত বেকারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সল্প সুদে ৫ লক্ষ টাকা কৃষি বা ক্ষুদ্র শিল্প ঋণ দেওয়া হবে।

১৪। জন্মের কালিন সময় মা ও তার পরিবারের সচেতনতা মুলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং প্রথম সন্তান জন্মের সকল ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে।

১৫। সকল নাগরিকের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং মতা প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, তবে ধর্মহীনদের ক্ষেত্রেও সমান অধিকার থাকবে।

১৬। সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নিষিদ্ধ করা হবে এবং রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে সমান সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার বজায় থাকবে।

১৭। দেশের সকল নাগরিক বা দল বা সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় দিবস গুলো মর্যাদার সাথে পালন করতে হবে এবং জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের সম্মান জানাতে হবে।

১৮। উম্মুক্ত সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অনুমোদন নিতে হবে।

১৯।  রাত ১১টার পর দেশের জাতীয় অনুষ্ঠান ছাড়া শব্দ দোষণ  করে কোন ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবেনা।

২০। রাষ্ট্রের কাছে নারী বা পুরুষ বা তৃতীয় লিংগের সবাই নাগরিক এবং বাংলাদেশি বলেই পরিচিত হবে।

২১। পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী বা শারীরিক অক্ষম বিশেষ শ্রেনীর জন্য রাষ্ট্র প্রয়োজনে বিশেষ সুবিধা দিবে।

২২। সন্তান বা সম্পদহীন বয়স্ক নাগরিকদের (আদালতের রায়ে শাস্তি প্রাপ্তরা ছাড়া) বিশেষ ভাতা ও চিকিৎসা ব্যয় সরকারী ভাবে বহন করা হবে।

২৩। কর্মক্ষম প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষার জন্য সরকারি ভাবে (মাসিক একশত টাকা হারে) ৫ লক্ষ টাকার জীবন বীমা চালু করা হবে।

২৪। আয়ক্ষম প্রতিটি নাগরিককে আয়করের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং বিশেষ কর কার্ড দিয়ে উৎসাহিত করা হবে।

২৫। প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং জেলা ভিত্তিক উচ্চ শিক্ষার জন্য মেধা ও গরীব ছাত্রদের জন্য উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি চালু করা হবে।

২৬। রাষ্ট্রের অধিনে পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ সরকারী করা হবে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ২০ ভাগ গরীব ছাত্রদের বিনা বেতনে অধ্যায়ন ও ২০ ভাগ সিট গ্রামের ছাত্রদের জন্য থাকতে হবে।

২৭। মুক্তিযোদ্ধা, যোদ্ধাহত ও বীরাঙ্গনা মায়েদের জন্য সরকারি যানবাহন ও চিকিৎসা ব্যয় সম্পূর্ণ ফ্রী থাকবে এবং বেসরকারি যানবাহন ও চিকিৎসা ব্যয় অর্ধেক বা হাপ করা হবে।

২৮। পররাষ্ট্র নীতি হবে সকল দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা, বন্ধুর সাথে বন্ধুর বিরোধ হলে আপোষ করা বা নিরপেক্ষ থাকা।

২৯। আইন, বিচার, শাসন ও নির্বাচন কমিশন  কে শতভাগ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়া হবে। এবং রাষ্ট্র কোন ধরনের বিশেষ সুবিধা নিবেনা।

৩০। ১৫ বছরের পরিকল্পনায় শতভাগ স্বাক্ষরতার হার অর্জন করা হবে। আন্তর্জাতিক মানের বিশেষ গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে এবং এদেশকে শিক্ষাবান্ধব দেশ হিসেবে গড়েতোলা হবে।

৩১। দলীয় বা রাষ্ট্রীয় পদে একজন নাগরিক  তিনবারের অধিক থাকতে বা নির্বাচন করতে পারবেনা।

৩২। সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে, চাকুরী প্রার্থী থেকে আবেদনের সাথে কোন ধরনের অর্থ গ্রহণ করা যাবেনা এবং সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে একবারের অধিক কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করা যাবেনা

৩৩। সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়স সকল নাগরিকের জন্য ৪০ বছর করা হবে এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ৪২ বছর করা হবে।

৩৪। বিশেষ শ্রেনীর নাগরিক ছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি সকল নিয়োগ সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে হবে, তবে বিশেষ প্রয়োজনে নারী ও পুরুষের কোটা থাকবে।

৩৫। সামরিক বাহিনীকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে এবং নারীদের অংশ গ্রহণ বৃদ্ধি করা হবে।

৩৬। দেশ রক্ষার প্রয়োজনে বিশেষ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা হবে এবং সমসাময়িক আধুনিক বা অত্যাধুনিক অস্ত্রবল ও জনবল তৈরি করা হবে।

৩৭। সরকারি কর্মচারীদের প্রতিবছর সম্পদের হিসাব নিজ বিভাগে জমা দিতে হবে। সম্পদের হিসেবে অতিরিক্ত ব্যবধান হলে দুর্নীতি কমিশনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

৩৮। সরকারি চাকুরী শেষ হওয়ার ৫ বছর ব্যবধানের আগে কোন ধরনের নির্বাচন করতে পারবেনা এবং ২ বছর ব্যবধানের আগে রাষ্ট্রের অন্য কোন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেনা।

৩৯।রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ স্পীকার, প্রধান বিচারপতি ও প্রধান বিরোধীদলের নেতা ছাড়া অন্য কাউকে পুলিশ প্রটোকল দেওয়া হবেনা, তবে বিশেষ প্রয়োজনে নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিতে পারবেন।

৪০। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য ৫ বছর মেয়াদের বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করা হবে এবং ট্রাফিক গার্ড বাহিনী নামে একটি আলাদা বাহিনী গঠন ও এই বাহিনীর জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় করা হবে।

৪১। নিয়োগ বিভাগ বা কর্ম বিভাগ নামে আলাদা একটি বিভাগ থাকবে, যে বিভাগের মাধ্যমে সরকারি সকল নিয়োগদান হবে ও বেসরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুমোদন দিবে।

৪২। উন্নয়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করার জন্য সাবেক বৃহত্তম ১৭ জেলাকে আলাদা প্রাদেশিক মর্যাদা দিয়ে পর্যায়ক্রমে শাসন ব্যবস্থা চালু করা হবে । যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা ও সংসদ ব্যবস্থা থাকবে। 

৪৩। দেশের প্রয়োজনে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা হবে তবে রপ্তানি করা হবেনা।

৪৪। ধর্মীয় অনুষ্ঠার যার যার জাতীয় ও সংস্কৃতির অনুষ্ঠান সবার এই স্লোগানে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তি মুক্ত সম্প্রীতি ও সংস্কৃতির বন্ধনের মিলন গঠানো হবে।

৪৫। অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য আমদানিতে শুল্কহার কমানো হবে এবং উৎপাদনে ভর্তুকি দেওয়া হবে।

৪৬।  কৃষি প্রযুক্তির  মালামাল উৎপাদনের উপাদানের উপর আমদানি শুল্কমুক্ত আরো কমানো হবে।

৪৭। শব্দ, পরিবেশ ও বায়ুদূষণ বিরোধী কার্যকর আইন প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হবে এবং প্রত্যেক জেলায় শহরের বাহিরে আলাদা শিল্প নগরী স্থাপন করা হবে।

৪৮। অপ্রয়োজনীয় বিদেশি মিডিয়া বন্ধ করে দেশের মিডিয়ার প্রচার ও প্রসার করা হবে এবং প্রতিটি চ্যানেলকে একটি নিদিষ্ট বিষয় বিশেষ মাধ্যম হিসেবে প্রচারের অনুমতি প্রদান করা হবে।

৪৯। ক্রীড়াঙ্গনকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখা হবে এবং খেলোয়ারদের জন্য কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে।

৫০। প্রবাসীদের আয় ও বিনিয়োগের উপর করের হার কমানো হবে বা প্রয়োজনে তোলে নেওয়া হবে এবং
প্রবাসী ও তার পরিবার সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বিশেষ আইন করা হবে।

৫১। প্রবাসী নাগরিক সুরক্ষা আইন করে বিদেশে বাংলাদেশী প্রবাসী নাগরিকদেরকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে এবং প্রবাসীদের স্ত্রী ও সন্তানকে দেশে বিশেষ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

৫২। লেবার ভিসায় শ্রমিক বিদেশ যাওয়ার জন্য বিনা সুদে মেয়াদী  ঋণ দেওয়া হবে। এবং মেয়াদের মধ্যে বিদেশে শ্রমিকের মৃত্যু হলে ঋণ মকুফ করা হবে এবং লাশ দেশে আনার বিমান খরচ সরকার বহন করবে।

৫৩। প্রতিটি জেলা রেলপথ এর আওতাধীন ও প্রতিটি বিভাগে বা প্রদেশে বিমান বন্দর নির্মাণ করা হবে।

৫৪। শতভাগ বিদুৎতায়ন ও লাইন গুলোকে ভূগর্ভে নিয়ে দুর্ঘটনারোধ করে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।

৫৫। তামাক পণ্য উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হবে  এবং মাদক ও তামাক বিরোধী প্রচার বাড়ানো হবে। মেগা পরিকল্পনায় তামাক ও মাদক মুক্ত দেশ গড়া হবে।

৫৬। পারমাণবিক শক্তিকে মানবতার কল্যাণের জন্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে এবং বিদুৎ শক্তি উৎপাদনে ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে, দেশের জনগন প্রয়োজন মনে করলে, দেশ রক্ষায় পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার করা হবে।

৫৭। প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সাথে অধিক সুসম্পর্ক স্থাপন করা হবে, আমদানি ও রপ্তানিতে ভারসাম্য আনা হবে এবং বিদেশি মুদ্রা ও সোনার রিজার্ভ বৃদ্ধি করা হবে।

৫৮। সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সীমান্তে হত্যা ও চোরাচালান বন্ধ এবং বিজিবিকে অধিক শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করা হবে।

৫৯। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে চতুর্মুখী ভাবে আধুনিকায়ন করা হবে এবং চক্রাকার সড়ক ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। দেশে গাড়ি উৎপাদন শিল্প স্থাপনে উৎসাহ দেওয়া হবে।

৬০। দল যার যার, দেশ, মাতৃভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন সবার, এই মন্ত্রে জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে।

৬১। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থি দমনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং রাষ্ট্রীয় গুম-খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা হবে।

৬২। চোরাচালান, মাদকপাচার, নারী ও শিশু পাচার এবং অর্থ পাচার বন্ধ করা হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

৬৩। উন্নয়ন বন্টনের ক্ষেত্রে ইনসাফ ও সমতার সমন্বয় করা হবে এবং আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা হবে।

৬৪। রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হবে পুজিবাদ, সমাজতত্ত্ব ও ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার কল্যাণময় কাঠামোর সমন্বিত  সংযোজনের এমন একটি রুপ, যেখানে ইনসাপ ও সাম্যের সাথে মৌলিক অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই অর্থ ব্যবস্থার নাম হলো- "মিক্স আইডিয়াল ইকোনোমি"

৬৫। বিনোদনের জন্য প্রতিটি জেলায় আধুনিক পার্ক ও চিড়াখানা গড়ে তোলা হবে।

৬৬। ঔষধ শিল্পে মান নিশ্চিত করা হবে এবং প্রধান রপ্তানিকৃত শিল্পে পরিণত করা হবে।

৬৭। পোষাক শিল্পের মাধ্যমে বিশ্ববাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করা হবে।

৬৮। শ্রমিকদের কর্মবীমা ও চিকিৎসা বীমা চালু করা হবে এবং শ্রমিক নিরাপত্তা আইন করা হবে।

৬৯। (নারী-পুরুষ) ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য সমন্বয় করা হবে এবং নারী নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে আইন বাস্তবায়ন করা হবে এবং পুরুষ নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়ন করা হবে।

৭০। সংবিধান পরিপন্থী সকল রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

৭১। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে  ন্যায় ও কল্যাণের শাসন প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, নিরাপদ ও আনন্দময় জীবনের জন্য নিরাপদ দেশ গঠন এবং  বর্তমান আধুনিক বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে সর্বাধুনিক কল্যাণকর ও সুন্দর দেশে হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য-

লেখকঃ
মুহাঃ মহসীন ভূঁইয়া
বিএসএস (অনার্স) এমএসএস (অর্থনীতি)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Wednesday, November 7, 2018

২০ দলীয় জোট ত্যাগ করলো লেবার পার্টি

২০ দলীয় জোট ত্যাগ করলো লেবার পার্টি

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নামে ১/১১-এর কূশিলবদের অপতৎপরতা ও ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর করার প্রতিবাদে ২০-দলীয় জোট ত্যাগ করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি। আজ সকালে স্থানীয় একটি হোটেলে লেবার পার্টির নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দলের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস-চেয়ারম্যান হিন্দুরতœ রামকৃষ্ণ সাহা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মহসিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, শামিমা চৌধুরীসহ নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ। 
সভা মনে করে, বিএনপি’র নেতৃত্বে ৪-দলীয় জোটকে সমপ্রসারণ করে ১৮-দলীয় জোট যা পরবর্তীতে ২০-দলীয় জোটে রূপান্তরীত হয়েছে। এ জোটের শরীক হিসেবে আমরা আমাদের সাধ্যমত অবদান রাখায় সচেষ্ট ছিলাম। গত ০৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে লেবার পার্র্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও জামায়াতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দলের আদর্শ ও দেশ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ সহ অব্যাহতি দিয়ে জনাব এমদাদুল হক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। দলের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ আমাদের সাথে থাকলেও বিএনপি ইরানের অংশকেও জোটে রেখে দেয়। আমরা অপমানিত হলেও দেশ-জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিষয়টিকে মেনে নিয়েই জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি নির্বাচনে ইরান জোটের প্রার্থীর বিপক্ষে সরাসরি নির্বাচনের মাঠে থাকলেও জোটের প্রধান দল তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। 
সাম্প্রতিক কালে বিএনপির জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত থাকলে আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যের নামে “জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট” নামক একটি জোটের আত্মপ্রকাশ করতে গিয়ে বিএনপি ও তার নতুন বন্ধুরা যে সকল ঘটনার অবতারণা করেছেন তা সত্যই দু:খজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক। ১/১১ এর কূশিলব ও বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার নেতাদেরকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন ও সাম্প্রতিক কালে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন, অন্যতম নেতা ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেন ও ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফাঁশ হওয়া টেলিফোনিক কথোপকথনে নতুন করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র ফুটে উঠে। এধরণের গোঁজামিলের জোট দেখে আমরা আতঙ্কিত। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা কি আরেকটি অশুভ শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্রের অংশিদার হতে যাচ্ছি কিনা! লেবার পার্টি মনে করে নতুন এ জোটের আত্মপ্রকাশ ২০-দলীয়  জোটকে অকার্যকর, অন্ত:শার শুন্য এবং জাতীর সাথে তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।
বাংলাদেশ লেবার পার্টি ক্ষমতার পালা বদলের নামে কোন অশুভ শক্তি ক্ষমতা গ্রহণ করে আবারও দেশকে রাজনীতি শুণ্য করার কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে না। 
এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে ২০-দলীয় জোটের শরীক হিসেবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির স্বার্থে আজ থেকে ২০-দলীয় জোটের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করছে। আমরা নতুন করে পথ চলতে চাই। আমরা আশাকরি সকলে মিলে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আগামী দিনে একটি সুখি-সমৃদ্ধশালি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হব।

বার্তা প্রেরকঃ

(হামদুল্লাহ আল মেহেদী)
মহাসচিব
বাংলাদেশ লেবার পার্টি
মোবা: ০১৭২০ ৫৫৭০০৪